Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

আশঙ্কার তুলনায় ক্ষয়ক্ষতি কম হয়েছে: কাদের


ইউএনভি ডেস্ক:

সুপার সাইক্লোন আম্পানে আশঙ্কার তুলনায় জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কম হয়েছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সরকারের আগাম প্রস্তুতির জন্য ক্ষয়ক্ষতি কম হয়েছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দক্ষতার বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। যার ফলে আশঙ্কার তুলনায় ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি অনেক কম হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনের তার সরকারি বাসভবনে এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, সরকার দুর্যোগ পূর্ববর্তী, দুর্যোগকালীন এবং দুর্যোগ পরবর্তী পুনর্বাসনে প্রস্তুতি যথাযথভাবে সম্পন্ন করেছিল। প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ঝড়ের আগে জেলা প্রশাসন, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও আওয়ামী লীগ কর্মীরা প্রায় ২৪ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে এসেছেন। দুর্যোগ পরবর্তী ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা ও বেড়িবাঁধ মেরামতসহ সার্বিক পুনর্বাসনে ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন।

সুপার সাইক্লোন আম্পানে প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে এই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে বেশ কয়েকটি জেলায়। ক্ষয়ক্ষতি ব্যাপক না হলেও একেবারে কম হয়নি। সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী যশোর ও হাতিয়াসহ বেশ কিছু এলাকায় জলোচ্ছ্বাস, ঘরবাড়ি ধ্বংস ও বেড়িবাঁধের ক্ষতিসহ ফসলহানি ঘটিয়েছে। এমনকি কিছু কিছু যায়গায় প্রাণহানিও ঘটেছে।

আম্পানে নিহতদের প্রতি শোক প্রকাশের পাশাপাশি আশঙ্কা ও পূর্বাভাস অনুযায়ী কম ক্ষয়ক্ষতিতে সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও শুকরিয়া জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, পবিত্র লাইলাতুল কদরের রজনীতে আল্লাহর রহমত, মানুষের দোয়া ও শেখ হাসিনার সরকারের পূর্ব প্রস্তুতি এই ঘূর্ণিঝড় থেকে অল্প ক্ষতির মধ্য দিয়ে উত্তরণ ঘটিয়েছে। এর পাশাপাশি সুন্দরবনও সুরক্ষা প্রাচীর হিসেবে কাজ করেছে।

তিনি বলেন, দুর্যোগ পরবর্তী পুনর্বাসন, পানিবন্দি মানুষের সুরক্ষা এবং ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ মেরামতে শেখ হাসিনা সরকার ও আওয়ামী লীগ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষের পাশে রয়েছে। মনে রাখবেন ক্ষতিগ্রস্তরা একা নন, শেখ হাসিনার মত দরদী ও দক্ষ নেতৃত্ব তাদের সঙ্গে আছেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষ করোনার পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলা করছেন। এসব জনগোষ্ঠীর এই দুটো চ্যালেঞ্জ অতিক্রমে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদেরও তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, কিছুদিন ধরে মানুষের অসাবধানতা ও অসচেতনতার জন্য করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বেড়ে চলেছে। যারা সামাজিক দূরত্ব মেনে চলছেন না, স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না এবং অহেতুক যেখানে সেখানে সমাগম করছেন- তারা জেনেশুনেই সংক্রমণ ও মৃত্যুকে ডেকে আনছেন।

দেখতে পারেন 


Exit mobile version