অতিশয় নারীবাদী! প্যারিসের মেয়রকে লাখ ডলার জরিমানা


ইউএনভি ডেস্ক:

‘অতিশয় নারবাদী’ দোষে দুষ্ট প্যারিসের মেয়র অ্যানি ইদালগো। এই অভিযোগে সরকার তাকে এক লাখ ডলারের ওপর জরিমানা করেছে। তার অপরাধ, তিনি সিটি হলের জ্যেষ্ঠ পদগুলোতে অনুমিত হারের বেশি নারী নিয়োগ দিয়েছেন! এতে ফ্রান্সের আইন ভঙ্গ হয়েছে।

কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গসমতা আনতে প্রণয়ন করা ফ্রান্সের ২০১৩ সালের জাতীয় আইন অনুযায়ী, ব্যবস্থাপনা পদে বা নতুন নিয়োগের ক্ষেত্রে একটি লিঙ্গের কর্মী ৬০ শতাংশের বেশি থাকতে পারবে না। অর্থাৎ নারী পুরুষ যে কোনো একটি লিঙ্গের কর্মী মোট কর্মীর সর্বোচ্চ ৬০ শতাংশ হতে পারবে। কিন্তু ২০১৮ সালে মেয়র ইদালগো তার মিনিসিপ্যালিটিতে ১১ জন নারী এবং ৫ জন পুরুষকে পদোন্নতি দিয়ে ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োগ দিয়েছেন। অর্থাৎ এখানে নারীর অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে ৬৯ শতাংশ।

এই আইন ভঙ্গের কারণে ফ্রান্সের জনসেবা মন্ত্রণালয় প্যারিস পৌরসভা কর্তৃকপক্ষকে ৯০ হাজার ইউরো বা ১ লাখ ৯ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা করেছে।

সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় হিদালগো বলেছেন, আমাদের জরিমানা করা হয়েছে। আমি এতে খুশি।

কাউন্সিল সভায় বক্তব্য রাখার সময় এ সমাজতান্ত্রিক মেয়র রসিকতা করে বলেন, সিটি হলের ব্যবস্থাপনা পরিষদ হঠাৎ করেই অতিশয় নারীবাদী হয়ে উঠেছে!

তবে তিনি ফ্রান্সে সিনিয়র পদে নারীদের পদোন্নতি পাওয়া যে এখনো পুরুষের চেয়ে অনেক কম সে বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। সেই সঙ্গে নারীদের অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে এ ধরনের পদে তাদের বেশি করে নিয়োগ দেয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেছেন মেয়র।

তিনি বলেন, এই জরিমানা স্পষ্টতই অযৌক্তিক, অন্যায়, দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং বিপজ্জনক!

ফ্রান্সের জনসেবা মন্ত্রী আমেলি ডু মোশালঁ এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় টুইটারে বলেছেন, কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গসমতার আইনটি ২০১৮ সালে পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন কোনো কাজে অতিরিক্ত নারী বা অতিরিক্ত পুরুষ নিয়োগ দেয়া ততোক্ষণ জরিমানার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে যতোক্ষণ তা কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ ভারসাম্যকে প্রভাবিত করছে না।

কীভাবে সরকারি চাকরিতে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোকে আরো উৎসাহিত করা যায় সে ব্যাপারে আলোচনা করার জন্য মেয়র ইদালগোকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মন্ত্রী। সেই সঙ্গে এও বলেছেন, ওই জরিমানা সঠিকভাবেই করা হয়েছে এবং তা কার্যকর করা হবে।

সূত্র: বিবিসি


শর্টলিংকঃ