‘অন্যায় করলে জনপ্রতিনিধিদেরও আইনের আওতায় আনা হবে’


অন্যায় করলে জনপ্রতিনিধিদেরও আইনের আওতায় আনা হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। রোববার সকালে গাজীপুরের সফিপুরে আনসার ও ভিডিপি একাডেমিতে ৩৫ ও ৩৬ তম বিসিএস (আনসার) কর্মকর্তাদের মৌলিক প্রশিক্ষণ ও এমএইচএস কোর্স সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে এ হুশিয়ার দেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আজকে দেশকে যে অবস্থানে নিয়ে গেছেন, তা ধরে রাখতে আমাদের অবশ্যই সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেজন্যই যে অন্যায় করুক, জনপ্রতিনিধি বা কর্মচারী হোক- তাকেই আইনের মুখোমুখি হতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘চলমান অভিযান শুধুমাত্র ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে নয়, যারা দেশের আইন অমান্য করে আইনের বিরুদ্ধে কাজ করে তাদের সবার বিরুদ্ধে এই অভিযান। যারা অনৈতিক ব্যবসা করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’

আসাদুজ্জামান খান বলেন, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মূলচালিকাশক্তি হচ্ছে প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে নিজেদের আর্থসামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি দেশ ও জাতির সার্বিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখুন।

তিনি আরও বলেন, মৌলিক প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে নিজেদের শারীরিক দক্ষ ও চৌকস কর্মকর্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা। বাহিনীর ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রেখে নিজেদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্য সুষ্ঠু এবং সঠিকভাবে পালন করার জন্য সবার প্রতি নির্দেশ প্রদান করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দিন, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল কাজী শরীফ কায়কোবাদ, অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম আসিফ ইকবাল, উপ-মহাপরিচালক (আনসার-ভিডিপি একাডেমি) নিমাই কুমার দাস, উপ-মহাপরিচালক (প্রশাসন) কর্ণেল মো. কামাল মামুন, উপ-মহাপরিচালক (অপারেশনস)মাহবুব-উল ইসলাম, উপ-মহাপরিচালক (প্রশিক্ষণ) মো. মাহবুদ্দিন ও উপ-মহাপরিচালক (ঢাকা রেঞ্জ ও ঢাকা মহানগর আনসার) মো. ফিরোজ খান, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার শামসুন্নার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম সবুরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এর আগে প্রধান অতিথি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল একটি সুসজ্জিত খোলা জিপে প্যারেড পরিদর্শন করেন। পরে শ্রেষ্ঠ ড্রিল, শ্রেষ্ঠ ফায়ারা ও চৌকস হিসেবে তিনজন কৃতী প্রশিক্ষার্থী কর্মকর্তার মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।


শর্টলিংকঃ