অবমূল্যায়নের শিকার শতাধিক বিএনপি নেতার জাতীয় পার্টিতে যোগদান, ক্ষুব্ধ গয়েশ্বর!


দলীয়ভাবে অবমূল্যায়ন, অবহেলা ও প্রতারণার অভিযোগ এনে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মঞ্জুর হোসেনের নেতৃত্বে শতাধিক নেতাকর্মী জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়েছেন। এদিকে রাজধানীর মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় এত সংখ্যক নেতা-কর্মীদের দলত্যাগে বিব্রত হয়েছেন বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ।

তারা বলছেন, সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন সুবিধাবাদী নেতা। প্রলোভনে পড়েই তিনি দলত্যাগ করেছেন। তবে মঞ্জুরদের মতো বেইমান ও প্রতারক নেতা-কর্মীদের দলত্যাগ বিএনপির সামান্যতম ক্ষতি হবে না বলেও জানান তারা।

গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, সোমবার (২২ জুলাই) জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের হাতে ফুল দিয়ে জাপায় যোগ দেন বিএনপির এই বিক্ষুব্ধ নেতারা।

দলত্যাগের বিষয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে জাতীয় পার্টিতে যোগদানকারী সাবেক বিএনপি নেতা মঞ্জুর হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন বিএনপির রাজনীতি করে কপালে জুটেছে শুধুই অপবাদ ও গঞ্জনা। ৮৬ সাল থেকে বিএনপির সঙ্গে রাজনীতি করেছি। অথচ দলে জুনিয়র অনেক নেতাদেরই বড় বড় পদে রাখা হয়েছে। আমরা শুধু দলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে চাঁদা দিয়ে গেছি, বিনিময়ে ছোট পদ দিয়ে আমাকে সান্ত্বনা দেয়া হয়েছে। নির্যাতন, নিপীড়ন সহ্য করেও কোনদিন সিনিয়র নেতাদের চোখে ভালো হতে পারিনি।

তিনি আরো বলেন, রাজপথে বিএনপির জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি, জেল-জুলুমের শিকার হয়েছি। অথচ মূল্যায়নের ক্ষেত্রে আমাদের খাতা শূন্য। এখন মনে হচ্ছে, কেনো একটা আদর্শচ্যুত, নীতিহীন রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত ছিলাম? লোভী, প্রতারক ও প্রবঞ্চকদের আড্ডাখানা হলো বিএনপি। এই দলের সঙ্গে থাকলে জনগণের ঘৃণা ছাড়া কিছু জুটবে না কপালে। তাই আমরা দলত্যাগ করেছি।

এদিকে বিষয়টিকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন তো সুবিধাবাদী নেতা। যোগ্যতা, জ্যেষ্ঠতা না থাকা সত্ত্বেও তিনি স্থায়ী কমিটির সদস্য হওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে জোর লবিং চালাচ্ছিলেন। তার মিশন সফল না হওয়ায় ক্ষোভ দেখিয়ে অনুসারীদের নিয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেছেন। এরা রাজনীতিতে কীটের মতো। এদের প্রত্যাখ্যান করা উচিত। তার মতো নেতা দলত্যাগ করলেও বিএনপির কিছু যায়-আসে না।


শর্টলিংকঃ