অবশেষে রাজশাহীকে লকডাউন ঘোষণা


নিজস্ব প্রতিবেদক : 

অবশেষে রাজশাহীকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। করোনা সংক্রমণ সতর্কতায় মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক  এ ঘোষণা দেন। এ সংক্রান্ত একটি গণবিজ্ঞপ্তিও জারি করেন। মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে এ আদেশ কার্যকর। চলবে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত।  

গণবজ্ঞিপ্তিতে বলা হয়, ইতোমধ্যে রাজশাহী  জেলায় দুইজন  করোনা রোগী সনাক্ত হয়ছেে । এছাড়া ঢাকা ও নারায়নগঞ্জে  করোনা রোগের ব্যাপক প্রার্দুভাব দেখা দিয়েছে। এ কারণে ঢাকা – নারায়নগঞ্জ থেকে বিপুলসংখ্যক মানুষ রাজশাহী জেলায় আগমনের প্রবণতা দেখা দিয়েছে ।  এর পরিপ্রেক্ষিতে  জেলা সিভিল সার্জনসহ  আইন -শৃংখলা সংক্রান্ত সকল সংস্থার মতামতেরভিত্তিতে প্রাণঘাতী করানো ভাইরাস প্রতিরোধে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ, ও নির্মূল) আইন ২০১৮ অনুযায়ী জেলা প্রশাসক রাজশাহী জেলাকে লকডাউন (অবরুদ্ধ) ঘোষণা করেন।

লকডাউন অনুযায়ী এ  জেলার সাথে অন্য  জেলার প্রবেশ ও বাহির হওয়ার সকল প্রকার রাস্তাঘাট বা অন্য কোনও পথে  জেলার কেউ বাইরে যেতে পারবেন না  এবং  জেলার বাইরে  থেকে কেউ ভেতরে প্রবেশ করতে পারবেন না।

তবে সকল ধরনের গণপরিবহন ও জনসমাগম বন্ধ থাকবে। তবে জরুরী পরিষেবা, চিকিৎসাসেবা, কৃষিপণ্য, খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ ও সংগ্রহ বিদ্যুৎ-গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন, ইন্টারনেট, ব্যাংকিং সেবা, মোবাইল ব্যাংকিং, ঔষধ শিল্প সংশ্লিষ্ট যানবাহন ও কর্মী ইত্যাদি এবং সরকার কর্তৃক সময়ে সময়ে ঘোষিত অন্যান্য জরুরী পরিষেবা এর আওতা বহির্ভূত থাকবে।

মঙ্গলবার সকাল ১০ টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে।  আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হওয় ওই গণবিজ্ঞপ্তিতে। এর আগে ৬ এপ্রিল লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছিলেন রাজশাহী সদর আসনের এমপি ফজলে হোসেন বাদশা। কিন্তু তা পুরোপুরি কার্যকর হয় নি বলে অভিযোগ ওঠে।

এদিকে দুইদিনে বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে পরপর দুই ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়। এর মধ্যে গতকাল সোমবার (১৩ এপ্রিল) শনাক্ত হয় জেলার বাগমারা উপজেলায়। তার আগের দিন রোববার (১২ এপ্রিল) শনাক্ত হয় পুঠিয়া উপজেলায়। তাদের মধ্যে একজন নারায়ণগঞ্জ ফেরত। অপরজন রাজধানী ঢাকার শ্যামলী থেকে রাজশাহী ফিরেছেন।


শর্টলিংকঃ