অবশেষে স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি সম্পন্ন!


অপূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে দীর্ঘদিন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে রাজপথে লুকোচুরির রাজনীতি করলেও এবার স্বেচ্ছাসেবক দলকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতে চায় বিএনপি। এই অঙ্গসংগঠনটিকে শক্তিশালী করতে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পাশাপাশি যোগ্য ও উপযুক্তদের পদায়ন নিশ্চিত করতে চায় বিএনপি। তবে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলের অনুগামীরা দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে প্রাধান্য পাবেন- এমন শঙ্কায় দিন পার করছেন পদপ্রত্যাশীরা। অর্থ ও লবিংয়ের কাছে যোগ্যতার পরাজয় ঘটবে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।

স্বেচ্ছাসেবক দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্থান পেতে আগ্রহী একাধিক নেতার সাথে কথা বলে এমন শঙ্কা ও সংশয়ের বিষয়ে জানা গেছে।

স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুগতদের প্রাধান্য পাওয়ার বিষয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদপ্রত্যাশী ও দলের একজন সিনিয়র নেতা বলেন, তিন বছর মেয়াদের স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গতা না পেলেও মেয়াদ শেষে এটি হতে চলেছে। সভাপতি-সম্পাদকের বিরোধের কারণে আজ পর্যন্ত বিএনপির এই অঙ্গসংগঠন পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেনি। বাবু ও জুয়েলের দ্বন্দ্বের কারণে স্বেচ্ছাসেবক দল বিএনপির রাজনীতিতে সুপার ফ্লপ। কমিটি সাংগঠনিকভাবে ব্যর্থ হওয়ায় রাজপথসহ অন্যান্য কার্যক্রমে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক দলের ব্যর্থতার কারণে রাজপথে বিএনপিও ব্যর্থ হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, শুনলাম- তিন মাসের জন্য কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা হচ্ছে। আগামীতে সিলেকশন হবে নাকি ইলেকশনের (কাউন্সিল) মাধ্যমে কমিটি গঠন হবে তা নিয়ে সংশয় দানা বেঁধেছে। কারণ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তাদের আধিপত্য ধরে রাখার জন্য নিজেদের অনুসারীদের কমিটিতে ঢোকানোর প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। প্রধান দুই নেতার কারণে কমিটিতে যোগ্য ও উপযুক্তরা পদ পাবেন না- এমন গুঞ্জনও চাউর হচ্ছে স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজনীতিতে। রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে স্বেচ্ছাসেবক দল আজকে রাজপথে মুখ থুবড়ে পড়েছে। আমরা এর সুরাহা চাই। সত্যি বলতে কার কাছে এর সমাধান চাইবো? সবাইতো নিজ নিজ কর্মীদের পদায়ন নিশ্চিত করতে ব্যস্ত। যোগ্যরা বিএনপিতে সবসময় অবহেলিত!

আগামী কাউন্সিলে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি প্রার্থী হতে চান এমন এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ২০১ জনকে নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন হবে। তবে শঙ্কার বিষয় হলো, বাবু ও জুয়েল স্ব স্ব অনুসারীদের প্রাধান্য দেয়ায় প্রকৃত অর্থে ত্যাগী ও মাঠের নেতারা বাদ পড়তে পারেন। নেতাকর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা রয়েছে। চূড়ান্ত কমিটিতে মূল্যায়ন না হলে বাবু-জুয়েল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ দেখা দিতে পারে।


শর্টলিংকঃ