‘অবৈধ পথে বিদেশগামীদের নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন’


ইউএনভি ডেস্ক:

নদী পথে বা অবৈধ পথে যারা বিভিন্ন দেশে যাচ্ছেন তাদের নিয়ন্ত্রণে আনা সরকারের জন্য অত্যন্ত কঠিন বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমদ।সোমবার জাতীয় সংসদে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেছেন, ‘যারা নৌকাডুবিতে মারা যাচ্ছেন, বা বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ করে মালয়েশিয়ায় যেভাবে জঙ্গলে জঙ্গলে থাকছেন, পুলিশের ধাওয়া খাচ্ছেন। অর্থাৎ অবৈধ পথে যারা যাচ্ছেন তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখা সরকারের জন্য অত্যান্ত কঠিন কাজ।’

প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নারী কর্মীদের সামাজিকভাবে পুনর্বাসন করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যদি কোনো নারী কর্মী ধর্ষণের শিকার হয়ে থাকেন তাদের দেশে ফেরত আসার পর সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।’

হারুনুর রশীদের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রবাসী শ্রমিকদের পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রতারণা একটা বিরাট সমস্যা। প্রতারণা গ্রাম থেকে শুরু হয়ে যায়। দালালরা গ্রাম থেকে সমস্যা শুরু করে। তৃণমূল থেকেই সমস্যা শুরু হয়। কাজেই যাতে এই দালাল চক্র বন্ধ করতে পারি, সে হিসেবে রিক্রটিং এজেন্সিদের সংগঠনকে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত দিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘কোনো কোনো ট্রাভেল এজেন্সি বলে, ওনারা ভিসা দিয়ে বিদেশে নিয়ে যাবে। এটা কিন্তু আইনের বাইরে। এ জন্য আমরা কয়েকটি কোম্পানিকে ধরেছি, আইনি ব্যবস্থা নিয়েছি। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করেছি। পরবর্তীতে যদি আরও কিছু হয় আমার কঠোর ব্যবস্থা নেব, যাতে এই ধরণের কাজ না হয়। প্রতারণা থেকে আমরা শ্রমিকদের নিশ্চয়ই বাঁচাব।’

প্রবাসী কর্মীদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নিবন্ধীকরণের ব্যাপার আমরা যে পদক্ষেপ নিয়েছি তা প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি প্রধানমন্ত্রী এই জুলাই মাসের ভেতরে অথবা খুব বেশি হলে আগস্টে নিবন্ধীকরণ চালু করতে পারব। আমরা নিবন্ধীকরণ ইউনিয়ন পর্য়ায়ে নিয়ে যাব। ইউনিয়নের ডিজিটাল সেন্টার থেকে নিবন্ধন করতে পারে সেই ব্যবস্থা হাতে নেব।’

তিনি বলেন, ‘বিদেশগামীদের ডাটা বেইজ করতে যাচ্ছি। পরবর্তীতে যখন চাকরির সময় হয়, তখন যেন ওই ডাটা বেইজ থেকে শ্রমিক নির্বাচন করা হয়। তাছাড়া আমাদের নির্বাচনী ওয়াদা প্রতি বছর প্রতিটি উপজেলা থেকে এক হাজার কর্মী পাঠাব। এই ডাটা বেইজ থেকেই ওই নির্ধারণ করা হবে। এরইমধ্যে ৬৪ জেলার মধ্যে ৪২টি জেলার ডাটা বেইজ আছে।


শর্টলিংকঃ