অর্থ পাচার মামলায় জি কে শামীম ৫ দিনের রিমান্ডে


অর্থ পাচার আইনের মামলায় যুবলীগ নেতা জি কে শামীমকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী এ আদেশ দেন।


এদিন আসামিকে আদালতে হাজির করে অস্ত্র আইনের মামলায় চার দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে আটক রাখা ও অর্থ পাচার আইনের মামলায় রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করা হয়। অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী দুই মামলায় তার জামিনের আবেদন করেন।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত অস্ত্র আইনের মামলায় জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর এবং অর্থ পাচার আইনের মামলায় আসামিকে রিমান্ডে নেয়ার আদেশ দেন। এর আগে ২ অক্টোবর অর্থ পাচার ও অস্ত্র আইনের পৃথক দুই মামলায় জি কে শামীমের মোট ৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

অর্থ পাচার আইনের মামলায় জি কে শামীমের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু সাঈদ রিমান্ডের এ আবেদন করেন। এতে বলা হয়, আসামিদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার আইনের মামলা ছাড়াও অস্ত্র ও মাদক আইনের মামলা রয়েছে।

র‌্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে অভিযানে জি কে শামীমের অফিস থেকে এক কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার টাকা ও ৯ হাজার ইউএস ডলার পাওয়া যায়। এ ছাড়া আসামির মায়ের নামে ১০টি এফডিআরে ১৬৫ কোটি ২৭ লাখ ৬০ হাজার টাকাসহ মোট ৩৪টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও চেক বইয়ের পাতা জব্দ করা হয়।

র‌্যাবের নায়েব সুবেদার মো. মিজানুর রহমান বাদী হয়ে অর্থ পাচার আইনের এ মামলাটি করেন। ঘটনার প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, এসএম গোলাম কিবরিয়া শামীম (জি কে শামীম) একজন চিহ্নিত চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, অবৈধ মাদক ও জুয়ার ব্যবসায়ী (ক্যাসিনো) হিসেবে পরিচিত।

এজাহারে অন্য আসামিরা (জি কে শামীমের সাত বডিগার্ড) দীর্ঘদিন লাইসেন্স করা অস্ত্র প্রকাশ্যে বহন, প্রদর্শন ও ব্যবহার করে লোকজনের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করেন।

এসব করে বিভিন্ন ধরনের টেন্ডারবাজি, মাদক ও জুয়ার ব্যবসাসহ স্থানীয় বাস টার্মিনাল, গরুর হাটে চাঁদাবাজি করে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থের মালিক হওয়ার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হলেও তা ব্যাপক তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে। মামলাটি সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা একান্ত প্রয়োজন।

গত ২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিজ কার্যালয়ে সাত বডিগার্ডসহ গ্রেফতার হন জি কে শামীম। পরে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও অর্থ পাচার আইনে তিনটি মামলা করা হয়।


শর্টলিংকঃ