Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

অস্ট্রেলিয়ার কাছে পাকিস্তানের হোয়াইটওয়াশ


ইউএনভি ডেস্ক:

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আগের ম্যাচে ১৮ বলে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল মাত্র ২৫ রান। হাতে ৬টি উইকেট থাকলেও তা নিতে পারেনি পাকিস্তান। এবার ১৮ বলেই জয়ের জন্য পাকিস্তানের প্রয়োজন ৪১! ম্যাচ দৃশ্যত উমর আকমল আউট হয়ে যাওয়ার সময়ই পাকিস্তান হেরে গেছে। পরে অধিনায়ক ইমাদ ওয়াসিমের অনবদ্য ব্যাটিং কেবল পাকিস্তানকে হারের ব্যবধান কমাতে সহায়তা করেছে। পাকিস্তান হেরেছে ২০ রানে। এর ফলে ৫-০ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হলো ইমরান খানের উত্তরসূরীরা।

এর আগে টস জিতে উসমান খাজার অনবদ্য ব্যাটিংয়ে ৭ উইকেটে ৩২৭ রান করে অস্ট্রেলিয়া। সান্ত্বনার জয়ের লক্ষ্যে হ্যারিস সোহেলের ব্যাটে পাকিস্তান ভালো জবাব দিয়েছিল। কিন্তু তার সেঞ্চুরি বৃথা গেছে। ৭ উইকেটে ৩০৭ রান করে থামে পাকিস্তান। তারা সিরিজ হেরেছে ৫-০ ব্যবধানে। টানা ৮ ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপে পা রাখবে চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম চার ব্যাটসম্যান পঞ্চাশ রানের ঘরে পৌঁছান। তবে আক্ষেপ থেকে গেছে উসমান খাজার। মাত্র ২ রানের জন্য সেঞ্চুরি পাননি তিনি। ইনিংস সেরা ৯৮ রান করেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার। তার ১১১ বলের ইনিংসে ছিল ১০টি চার।

আউট হওয়ার আগে খাজা ১৩৪ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন অ্যারন ফিঞ্চকে নিয়ে এবং শন মার্শের সঙ্গে যোগ করেন ৮০ রান। ফিঞ্চ ৬৯ বলে ৫৩ রান করেন। মার্শের ৬১ রান আসে ৬৮ বলে, ৫ চার ও এক ছয়ে।

শেষ দিকে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ঝড় অস্ট্রেলিয়ার স্কোরবোর্ড আরও শক্তিশালী করে। ৩৩ বলে ১০ চার ও ৩ ছয়ে ৭০ রান করেন তিনি। পাকিস্তানের পক্ষে উসমান শিনওয়ারি ৪ উইকেট নেন। তিনটি পান জুনাইদ খান।বৃথা গেছে হ্যারিসের সেঞ্চুরিলক্ষ্যে নেমে পাকিস্তান তৃতীয় বলে প্রথম উইকেট হারায়। তবে শান মাসুদের সঙ্গে ১০৮ রানের জুটিতে স্বস্তি ফেরান হ্যারিস। ৫০ রানে মাসুদ বিদায় নিলে আরও একটি শতরানের জুটি গড়েন তিনি।

উমর আকমলের সঙ্গে হ্যারিসের চতুর্থ উইকেট জুটিতে আসে ১০২ রান। এই জুটি ভাঙতেই রানের গতি কমে যায় পাকিস্তানের। আকমল ৪৩ রানে বিদায় নেওয়ার পরের ওভারে মাঠ ছাড়েন হ্যারিস। ১২৯ বলে ১১ চার ও ৩ ছয়ে ১৩০ রান করেন তিনি।হ্যারিসের বিদায়ের পর ইমাদ ওয়াসিম একাই লড়াই করেন। তাতে প্রয়োজনীয় রানের গতি ধরে রাখতে পারেননি তিনি। ৩৪ বলে ৬ চার ও ১ ছয়ে ৫০ রানে অপরাজিত ছিলেন এই পাকিস্তানি অধিনায়ক।

অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে জেসন বেহরেনডোর্ফ সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন। ম্যাচসেরা হয়েছেন ম্যাক্সওয়েল। তিন ফিফটিতে সিরিজের সেরা হয়েছেন খাজা।


Exit mobile version