আজ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস


ইউএনভি ডেস্ক :

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস আজ। প্রতিবছর ২৯ মে সারা বিশ্বে দিবসটি পালন করা হয়। বিশ্বের অন্য দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করা হচ্ছে।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী বিশ্বের সব দেশের শান্তিরক্ষীদের অসামান্য অবদানকে এ দিনে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হবে।

সততা, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনে শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে ১৯৮৮ সাল থেকে অংশগ্রহণ করে অদ্যাবধি বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী সদস্যরা সর্বোচ্চ পেশাদারি মনোভাব, আনুগত্য ও সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে চলেছেন। তাদের অনন্য অবদানের জন্য আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে দেশের ভাবমূর্তিকে বলিষ্ঠ করেছে।

দিবসটি রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। প্রদত্ত বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সূচিত পররাষ্ট্রনীতির অনুসরণের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ বিশ্ব দরবারে শান্তি ও সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

তিনি বিশ্বশান্তি রক্ষার মহান দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আত্মোৎসর্গকারী বীর শান্তিরক্ষী সদস্যদেরও তিনি পরম শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।

প্রদত্ত বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে শান্তিরক্ষী প্রেরণে বাংলাদেশ বর্তমানে অন্যতম শীর্ষস্থানীয় দেশ। শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশের সদস্যগণ বিপদসংকুল এবং সংঘাতপূর্ণ এলাকায় নিয়োজিত থাকেন।

শান্তিরক্ষী সদস্যগণ তাদের দক্ষতা, পেশাদারিত্ব ও আন্তরিকতা দ্বারা সারাবিশ্বে শান্তিরক্ষায় আরো কার্যকর ভূমিকা রাখবেন এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল করবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় এ বছর দিবসটি পালন করা হচ্ছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী বিশ্বের সব দেশের শান্তিরক্ষীদের অসামান্য অবদানকে আজ গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা হবে।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উদযাপনে বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয়ভাবে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

সকালে বিমান বাহিনীর কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গনে শান্তিরক্ষীদের স্মরণের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়েছে এবং বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শহীদ শান্তিরক্ষীদের নিকট-আত্মীয় এবং আহত শান্তিরক্ষীদের জন্য সংবর্ধনা এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের ওপর বিশেষ উপস্থাপনার আয়োজন করা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শহীদ শান্তিরক্ষীদের নিকট-আত্মীয় এবং আহত শান্তিরক্ষীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যগণ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাগণ, তিন বাহিনী প্রধান, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও), পুলিশের মহাপরিদর্শক, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বসহ উর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।


শর্টলিংকঃ