আজ পবিত্র আশুরা


নিজস্ব প্রতিবেদক:

আজ দশই মুহাররম পবিত্র আশুরা। হিজরি সনের প্রথম মাস মুহাররমের দশ তারিখকেই আশুরা বলা হয়।  সারাদেশে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যে দিনটি পালিত হচ্ছে।


হাদিস শরিফ ও প্রাচীন ধর্ম ইতিহাস গ্রন্থ অনুসারে মহররমের দশ তারিখে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঐশী ঘটনা ঘটেছে বলেই মুসলমানদের, বিশেষ করে শিয়া সম্প্রদায়ের কাছে আশুরার ধর্মীয় গুরুত্ব খুব বেশি। তাই ১০ মুহাররমকে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালন করা হয়।

দিবসটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনুধাবন করে ইসলাম ধর্মাবলম্বী, বিশেষ করে শিয়া অনুসারীরা নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। অনেকে রোজাও রাখেন। শিয়া সম্প্রদায়ের মুসলমানরা কারবালার সেই ঐতিহাসিক হৃদয়বিদারক ঘটনার স্মরণে প্রতীকী দুলদুল ঘোড়া সাজিয়ে, বুক চাপড়িয়ে, ধারালো ফলার আঘাতে শরীর রক্তাক্ত করে বের করবেন তাজিয়া মিছিল। অশ্রুসজল চোখে তারা হায় হোসেন হায় হোসেন বলে মাতম করবেন।

এ উপলক্ষে গত তিন দিন ধরেই রাজধানীর শিয়া সম্প্রদায়ের শত শত মানুষ তাদের পবিত্র স্থান হোসনি দালানকে ঘিরে পালন করেছেন নানা আনুষ্ঠানিকতা। শোকের আবহে কালো পতাকা উড়ানো হয়েছে। ইমাম হোসাইন (রা.) স্মরণে আয়োজন করা হয়েছে বয়ান, জিকির, মাতম ও শিরনি বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি।

পবিত্র এই আশুরা শুধু মুসলমানদের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ নয়। অন্যান্য আসমানি ধর্ম গ্রন্থের অনুসারীদের কাছেও এ দিনটি বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ। এ দিনটির পবিত্রতা ও গুরুত্ব প্রধানত এ কারণেই যে, বেহেশত থেকে পৃথিবীতে অস্থায়ীভাবে নির্বাসনে আসার পর এ দিনে হজরত আদম ও মা হাওয়া আলাইহিমুস সালামের তওবা আল্লাহপাক ক্ষমা করে দেন।

এছাড়া প্রলয়ংকরী তুফান থেকে হজরত নূহের কিশতির নাজাত লাভ, নমরূদের আগুন থেকে হজরত ইব্রাহিমের মুক্তি, ফেরাউনের কবল থেকে হজরত মূসা ও বনি ইসরাইলের নাজাতসহ হজরত আইয়ুব, হজরত দাউদ, হজরত সুলায়মান ও হজরত ঈসা প্রমুখ আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম আল্লাহপাকের বিশেষ অনুগ্রহ লাভ করেন। এছাড়া এ দিবসে কিয়ামত হবে বলেও বর্ণনায় পাওয়া যায়।


শর্টলিংকঃ