আতঙ্কে পদ্মা পাড়ের ২০ হাজার মানুষ


নিজস্ব প্রতিবেদক ,চাঁপাইনবাবগঞ্জ:
ধেয়ে আসছে সুপার সাইক্লোন ফণী। ভারতের ওড়িশায় এরই মধ্যে আঘাত হানা ফণী শনিবার (৪ মে) সকাল নাগাদ চাঁপাইনবাবগঞ্জের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে। এখানকার মানুষ সাধারনত কাল বৈশাখী ঝড় দেখলেও বড় কোন ঘূর্নী ঝড় দেখেনি। মিডিয়ার মাধ্যমে ফণী’র খবর শুনে কদিন ধরেই আতঙ্কে দিন কাটছে জেলার মানুষের।

শুক্রবার বেলা ১১টার পর হতে বাতাসের সাথে বৃষ্টি হওয়ায় জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে,চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার পদ্মার ওপারে অর্থাৎ পাঁকা ও দুর্লভপুর ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষ আতঙ্কে সময় পার করছে।

কারন হিসেবে তারা জানিয়েছেন, নদীর ওপারে প্রায় ১০টি ছোট বড় গ্রাম রয়েছে। ওই সব গ্রামে নেই কোন দালান কোঠা,নেই আশ্রয় কেন্দ্র। একটি মাত্র পাকা ভবন রয়েছে। উত্তরপাকা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

শুক্রবার রাত ৯টায় কথা হয়,রাসেল রহমান নামে এক সমাজ কর্মীর সঙ্গে। তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন,পদ্মার সর্বনাশা গ্রাসে হাজার হাজার মানুষ ঘর বাড়ী হারিয়ে আজ  নিঃস্ব প্রায়। যার কারনে কেও পাকা দালান কোঠা বানাতে পারেনা। ঘূর্নী ঝড় ফণী আঘাত হানলে লন্ডভন্ড হয়ে যাবে পুরো এলাকা।

স্থানীয় বাসিন্দা মো.বাবু জানান,এখন রাত (৯টায়) প্রচন্ড জোরে ঝড়সহ বৃষ্টি হচ্ছে। সুপার সাইক্লোন ফণী যদি আঘাত হানে আমাদের এলাকার মানুষ বেশি বিপদে পড়বে। কারন গ্রামের যতগুলো বাড়ী আছে সবগুলোই টিন,খড় দিয়ে বানানো। আশেপাশে বড় গাছ বা ভবন না থাকায় কোথাও যাবার জায়গা নেই। মূল্যবান যা আছে সব বিলিন হয়ে যাবে পদ্মা নদীতে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান জানান,নদীর ওপারে একটি মাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাকা ভবন রয়েছে। এ ছাড়া আর কোন নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্র নাই। ঝড় হলে সব তছনছ হয়ে যাবে।

তিনি আরও জানান,পদ্মা পাড়ের চরাঞ্চলবাসীকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে বার বার বলা হচ্ছে কিন্তু নিরাপদ স্থান দীর্ঘপথ দাদন চকে হওয়ায় ঘর বাড়ী ছেড়ে কেও আসতে চাচ্ছেনা।

শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) চৌধুরী রওশন ইসলাম জানান,নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে সব রকমের সুযোগ সুবিধা রাখা হয়েছে। তার পরেও কেও যদি না আসে তবে আমাদের কিছুই করার নাই। তার পরেও আমাদের সব ধরনের প্রস্ততি রয়েছে।


শর্টলিংকঃ