আধা কি.মি রাস্তা সংস্কার হয়নি ৬ বছরেও


নিজস্ব প্রতিবেদক,চাঁপাইনবাবগঞ্জ:

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা এলাকায় ২০১৩ সালে বন্যায় ভেঙে যাওয়া মাত্র আধা কিলোমিটার রাস্তা এখনো সংস্কার না হওয়ায় ১০ গ্রামের মানুষ চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে। এছাড়া মনাকষা ঈদগাহ মোড় হতে ঠুঠাপাড়া পর্যন্ত প্রায় ৯ কিলোমিটার রাস্তা শতাধিক খানাখন্দে পরিণত হওয়ায় চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে।

 

প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় এক কলেজ শিক্ষক চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য বরাবরা লিখিত আবেদন করেছেন।লিখিত আবেদন ও সরজমিনে দেখা গেছে- শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের খড়িয়াল চৌকা প্রাথমিক বিদ্যালয় মোড় হতে পুঁঠির ঘাটের ব্রীজ হয়ে ৫ ওয়ার্ডের বীরেন মোড় পর্যন্ত প্রায় আধা কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা। রাস্তার দুই পার্শ্বে কিছু ইট থাকায় চলাচলের সময় পথচারীরা হোঁচট খেয়ে আঘাত প্রাপ্ত হয়। রাস্তার মধ্যখান প্রায় ১২ ফিট চওড়া রাস্তা একেবারে ধূলায় পরিণত হয়েছে। এছাড়াও ছোট-বড় অনেক খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এতে রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে।

খড়িয়া গ্রামের জিয়াউল হক জিয়া, ও স্থানীয় দোকানাদার মিজানসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ জানায়, এ রাস্তাটি প্রায় ৭ বছর যাবত বেহাল দশার মধ্যে রয়েছে। তারা আরো জানায়, এ রাস্তা দিয়ে ১০ গ্রামের জনগণ, ১০-১২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, চাকুরীজীবিসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার হাজার হাজার মানুষ চরম দূর্ভোগ ও ঝুঁকির মধ্যে দিয়ে চলাচল করছে। অন্যদিকে মনাকষা ঈদগাহ মোড় হতে ঠুঠাপাড়া পর্যন্ত প্রায় ৯ কিলোমিটার পাকা রাস্তা শতাধিক ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি ও দ্’ুপাশ ভেঙে যাওয়ায় চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। ফলে মনাকষা, বিনোদপুর, দূর্লভপুরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ চরম দূর্ভোগের মধ্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছে বিভিন্ন ধরণের শত শত যানবাহন। প্রতিদিনই ঘটছে কোন না কোন দূর্ঘটনা। আহত ও পঙ্গুত্ববরণ করছে অনেকে।

তাছাড়া এলাকাবাসির কাঙ্খিত গোপালপুর ঘাটের ব্রীজটি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এলাকার কলেজ শিক্ষক হারুন অর রশিদ টুকু জানায়, এ রাস্তাটি জরুরী ভিত্তিতে সংস্কার করা প্রয়োজন বলে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।এ ব্যাপারে মনাকষা ইউপি চেয়ারম্যান মির্জা শাহাদাৎ হোসেন খুররম জানান, ইতিমধ্যে মনাকষা ঈদগাহ মোড় হতে ঠুঠাপাড়া পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারের জন্য এবং খড়িয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে পারচৌকা গ্রামের বীরেন মোড় পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। বর্তমানে বরাদ্দ না থাকায় দেরি হচ্ছে। তবে বরাদ্দ পেলেই জরুরী ভিত্তিতে দুটি রাস্তার কাজই সর্ম্পূন হবে।

এদিকে স্থানীয় সংসদ সদস্য ডাক্তার সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল জানান, রাস্তাটির একটি সংস্কার ও একটি নির্মাণের জন্য একটি আবেদন পেয়েছি। জরুরী ভিত্তিতে দুটি রাস্তার কাজই সম্পূর্ন করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 


শর্টলিংকঃ