আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে চয়নের ‘বুট পালিশ’


 

নিজস্ব প্রতিবেদক:

আন্তর্জাতিক শিশুতোষ চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশ প্যানারোমা ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম সেকশন (কমপেটেটিভ) ক্যাটাগরিতে মনোনীত হয়েছে  ‘বুট পালিশ’। চলচ্চিত্রটির নির্মাতা রাজশাহীর শাহারিয়ার চয়ন। আগামী ৬ মার্চ বিকাল ৪টায় ঢাকার শাহবাগে কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান হলে চলচ্চিত্রটি প্রদর্শিত হবে।

 

এর আগে চলচ্চিত্রটি ইতিমধ্যেই সপ্তদশ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে। কলকাতার নন্দনে আগামী ১৮ থেকে ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য দ্বিতীয় সাউথ এশিয়ান শর্টফিল্ম ফেস্টিভ্যাল এবং মুম্বাইয়ের নবম দাদা সাহেব ফালকে ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের জন্যও ‘বুট পালিশ’ চলচ্চিত্রটি মনোনীত হয়েছে। ‘বুট পালিশ’ চলচ্চিত্রটির গল্প লিখেছেন নাহিদা সুলতানা শুচি।

দেশের চলচ্চিত্রকে বিকেন্দ্রীকরণ ও উত্তরবঙ্গে সুস্থ ধারার চলচ্চিত্র শিল্প গড়ে তোলা এবং এই শিল্প বিকশিত করার লক্ষ্যে আন্দোলন চলছে দীর্ঘ দিন ধরেই। রাজশাহীতে অবস্থিত প্রবীণ চলচ্চিত্র প্রেমীরা এ আন্দোলন গড়ে তুলেছেন। তবে ২০১৩ সাল থেকে রাজশাহীতে এ আন্দোলকে আরও বেগবান ও শক্তিশালী করতে যুক্ত হয় একদল তরুণ। আন্দোলনরত এ তরুণদের একজন সহযোদ্ধা উদীয়মান তরুণ স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতা শাহারিয়ার চয়ন।

তিনি উত্তরবঙ্গ তথা রাজশাহীর চলচ্চিত্র শিল্পকে সমৃদ্ধ করতে ধারাবাহিকভাবে একের পর এক চলচ্চিত্র নির্মাণ করে চলেছেন। ‘সহানুভূতি’, ‘ফানুস’, ‘গন্তব্যহীন’, ‘বোধ’সহ বেশকিছু জনপ্রিয় চলচ্চিত্রের পর এবার তিনি নির্মাণ করলেন শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘বুট পালিশ’।

নির্মাতা শাহারিয়ার চয়ন

বুট পালিশের কাহিনীতে দেখা যায়, ১০ বছরের শিশু আরিফ। সে নগরীর বিভিন্ন রাস্তায় ঘুড়ে ঘুড়ে মানুষের বুট পালিশ করে বেড়ায়। প্রতিদিনের মতো সে তার কাজ করতে গিয়ে একদিন রাস্তায় একটা ছোট শিশুকে কুড়িয়ে পায়। এরপর সেই শিশুটিকে সে নিজের কাছে আগলে রাখে। শিশুটিকে নিয়ে নগরীর অলিতে-গলিতে ঘুড়ে বেড়ায়। একসময় শিশুটিকে নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠে। এতে আরিফ শিশুটিকে নিয়ে দ্বিধায় পড়ে। অন্য দিকে জিহাদ শিশুটিকে দেখে আরিফের সঙ্গে কথা বলে। একপর্যায়ে অনেক ভেবে আরিফের বিষয়টি নিয়ে জিহাদ তার পরিবারে সঙ্গে আলাপ করে। কিন্তু জিহাদ তাতে পরিবারের সম্মতি পায় না। এভাবেই এগিয়ে যেতে থাকে ‘বুট পালিশ’ চলচ্চিত্রটির গল্প।

চলচ্চিত্রটির নির্মাতা শাহারিয়ার চয়ন  বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ধাচের চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছি। হঠাৎই এবার ইচ্ছে হলো শিশুদের নিয়ে একটা ব্যাতিক্রম ধর্মী কিছু করতে। সেই ইচ্ছেকে প্রাধান্য দিয়ে এ শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘বুট পালিশ’ নির্মাণ করেছি’। আগামীতে নারী ও শিশু কেন্দ্রিক কিছু চলচ্চিত্র নির্মাণ করারও পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান তরুণ নির্মাতা শাহরিয়ার চয়ন।

ড্রিম মেকিং প্রোডাকশনের ব্যানারে নির্মিত এ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন, অভিনেত্রী সাবেরা ইয়াসমিন, জিহাদ খান, রফিক, চৌতি এবং শিশুশিল্পী আরিফ ও রোদ। রাজশাহীর বিভিন্ন স্থানে চলচ্চিত্রটি চিত্রায়িত হয়েছে।


শর্টলিংকঃ