আবহাওয়ার রূপ বদলে ফসলের বিপদ


বিশেষ প্রতিবেদক :

রূপ পাল্টেছে প্রকৃতি। পুঞ্জিকার পাতায় হিসেব-নিকেশ ঠিক থাকলেও বাস্তবে বদলে যাচ্ছে আবহাওয়ার বৈশিষ্ট্য। আর এই পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব পড়েছে কৃষিতেও। এজন্য বরেন্দ্র অঞ্চলের বোরো ধান চাষে কৃষকদের নিরুৎসাহিত করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এ সংকট ভাবিয়ে তুলেছে কৃষি বিজ্ঞানীদের।

গরমকালে বৃষ্টি, বৃষ্টিকালে শীত আর শীতকালে গরম-প্রকৃতিতে এমন অবস্থা খুব বেশি দিন আগেও ছিল না। এখন এই খেয়ালীপনা ভাবিয়ে তুলেছে কৃষি গবেষকদের। তারা জানান, প্রকৃতিতে আবহাওয়ার পরিবর্তনে কারণে নতুন নতুন রোগ ও বালাই দেখা দিয়েছে কৃষিতে। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, রাজশাহী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এবিএম আনোয়ার উদ্দিন বলেন, এ রকম আবহাওয়া থেকে রাজশাহী অঞ্চলে বাদামি গাছফড়িংয়ের প্রাদুর্ভাব হয়। আবার মাজরা পোকার উপদ্রব বাড়ে। তবে পরিচর্যার মাধ্যমে এবার এ রোগ এখনো নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে। আবহাওয়ার সঙ্গে মানানসই না হওয়ার কারণে ধানে চিটাও হচ্ছে বেশি।

এদিকে, কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, আবহাওয়ার এই পরিবর্তনের কারণে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে ফসল চাষে। খরা বেড়ে গেছে। এ কারণে সেচ বেশি লাগছে।কিন্তু খরার কারণে আবার পানি সংকট তীব্র হচ্ছে। ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর দিন দিন নিচে নামছে। ভূ-উপরিস্থ পানির যোগানও হারিয়ে যাচ্ছে।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. শামসুল হক বলেন, নানা সংকট তৈরি হয়েছে আবাহাওয়ার রূপ পাল্টে যাওয়ায়। বিশেষ করে বোরো চাষে এ অবস্থায় কৃষকদের বোরো চাষ থেকে পিছু হটে রবি ফসলের দিকে ঝুঁকতে কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে।ফলে ২০০৯-২০১০ সালে রাজশাহীতে বোরো চাষ হয়েছিল ৮১হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে। তবে ২০১৭-২০১৮তে তা কমে আসে ৬৯হাজার ৬৩ হেক্টরে।

 


শর্টলিংকঃ