আবারো কি সহিংস রাজনীতিতে ফিরতে চায় বিএনপি?


আজ বেশকিছু পত্রিকার সংবাদ শিরোনামে এসেছে খালেদার মুক্তির দাবিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ, গাড়ি ভাঙচুর বা খালেদার মুক্তির দাবিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ, গাড়ি ভাঙচুর। দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে দলটির আগ্রাসী স্বভাব। গতকাল (১২ ডিসেম্বর) উচ্চ আদালতের খালেদা জিয়ার জামিনের শুনানির পর খালেদা জিয়ার মুক্তি না মেলার কারণে ক্ষুদ্ধ বিএনপি নেতাকর্মীরা। সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির আরো কিছু কর্মকান্ডে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে সচেতন নাগরিকদের মনে।

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজের প্রতিবাদে ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে গতকাল রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল। শফিউল বারী বাবুর নেতৃত্বে গত ১২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার এবং আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েলের নেতৃত্বে গতকাল একটি বিক্ষোভ মিছিল মৌচাক মোড় থেকে শুরু হয়ে সফিনা হাসপাতাল হয়ে মালিবাগ রেলগেট গিয়ে শেষ হয়। এসময় তারা কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে।

এর আগে ২৬ নভেম্বর দুপুর একটার দিকে বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমানের নেতৃত্বে হাইকোর্টের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন দলের নেতা-কর্মীরা। এতে ব্যস্ত সড়কে দেখা দেয় তীব্র যানজট। নেতারা বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সুপ্রিমকোর্টের সামনে বিক্ষোভের সময় গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। সাধারণ মানুষের মনে সংশয়, আবারো কি কায়েম হতে যাচ্ছে পেট্রোল বোমার রাজনীতি?

অপরদিকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিতে খালেদার স্বাস্থ্য প্রতিবেদন দাখিল না করা নিয়ে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে হৈ-চৈয়ের সৃষ্টি হয়। যা আদালত অপমানের সামিল মনে করেন বিচারক প্যানেল। বিএনপির সাম্প্রতিক এমন আচরণ ভাবিয়ে তুলেছেন দেশের রাজনীতি বিশেষজ্ঞদের।


শর্টলিংকঃ