আবাসিক হোটেলে যুবকের ঝুলন্ত লাশ, স্ত্রীর কথা লেখা ছিল চিরকুটে


ইউএনভি ডেস্ক:

ঝিনাইদহ শহরে একটি আবাসিক হোটেলকক্ষ থেকে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় হোটেলকক্ষে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। ওই চিরকুটে মরদেহটি স্ত্রী মিনতির কাছে পাঠিয়ে দেয়া কথা লেখা আছে।


মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতের নাম ইন্দ্রজিৎ (৩৬)। তিনি কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বেলগাছি গ্রামের শুষেনন্দ্রর ছেলে। সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, ২৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে ওই যুবক হোটেলটির চার তলার একটি কক্ষ ভাড়া নেন। প্রতিদিন সকালে বের হয়ে বিকালে হোটেলে ফিরে আসেন তিনি।

অডিটের কাজ করে বলে হোটেল কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে ছিলেন তিনি। খবর পাওয়ার পর রাতেই কক্ষটি খুলে জানালায় গামছা দিয়ে ঝুলে থাকা যুবকের মরদেহ দেখতে পান তারা। এর পর ওই যুবকের স্ত্রী মিনতির কাছে ফোন করা হয়।

ওসি আরও জানান, হোটেলকক্ষে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। ওই চিরকুটে মরদেহটি স্ত্রী মিনতির কাছে পাঠিয়ে দেয়ার কথা লেখা আছে। হোটেলটির সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করা হচ্ছে। মরদেহের সুরতহাল করা হয়েছে। এ ছাড়া মোবাইল ফোনে নিহত ব্যক্তির স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে তারা গুরুত্বসহকারে খবরটি নেয়নি বলে জানান ওসি।

মরদেহটি একটি লাল রঙের নতুন গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে হোটেলের দক্ষিণ পাশের কক্ষে জানালায় ঝুলে থাকলেও তার পিঠে রক্ত গড়িয়ে পড়ার চিহ্ন দেখা গেছে। সেই সঙ্গে দুই পা মেঝেতে লেগে ছিল তার।

পরনে প্যান্ট থাকলেও শরীরে কাপড় ছিল না। এ ছাড়া বিছানায় একটি ব্যাগ ও ম্যাচ বাক্স দেখা গেছে। কক্ষটিতে দুই জোড়া স্যান্ডল পাওয়া গেছে। পূর্ব পাশের জানালা সে সময় খোলা ছিল বলে জানান একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী।

হোটেল ম্যানেজার শাহিনুর রহমান জানান, ওই ব্যক্তির ভোটার আইডি কার্ড জমা ছিল তার কাছে। সেই সূত্র ধরে প্রকৃত ঠিকানা জানা গেছে। তবে যেদিন তিনি কক্ষটি ভাড়া নেন, সেদিন যশোর থেকে এসেছে মর্মে রেজিস্টার খাতায় লিপিবদ্ধ করা আছে।

এদিকে রাতেই সিআইডির একটি বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ করেছে। ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা তা খতিয়ে দেখছেন তারা। বুধবার সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিষয়টি পরিষ্কার হবে বলে মনে করছে পুলিশ।


শর্টলিংকঃ