আমার কাছে মূল লক্ষ্য হল সঠিক চিত্রনাট্য বাছাই করা


‘‌আমার কাছে মূল লক্ষ্য হল সঠিক চিত্রনাট্য বাছাই করা। কারণ, আমি তো ভাল অভিনেতা নই আর সব চরিত্রে আমাকে মানায়ও না। তাই সঠিক চিত্রনাট্য বেছে নিতে পারলে অর্ধেক কাজই হয়ে যায়। পরের কাজটা খুব স্বচ্ছন্দে চলে’‌। নিজের ছবি ‘‌সুপার ৩০’‌ মুক্তি পাওয়ার ঠিক দুদিন এভাবেই সাংবাদিকদের বলছিলেন ঋত্বিক রোশন।

‘‌সুপার ৩০’ ছবিতে ঋত্বিক অভিনয় করছেন গণিতবিদ আনন্দকুমারের জীবনী অবলম্বনে। যিনি তার ‘‌সুপার ৩০’‌ উদ্যোগের জন্য নন্দিত হয়েছেন ভারতে তো বটেই এমনকি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়েও। স্বয়ং অমিতাভ বচ্চন ‘‌আরক্ষণ’ ছবির শুটিং করতে করতে দেখা করে গিয়েছেন আনন্দকুমারের সঙ্গে। দেখা করার বিষয় ছিল অবশ্যই ‘‌সুপার ৩০’‌ নিয়ে তার আগ্রহ। পরে তার সঞ্চালনায় ‘‌কৌন বনেগা কোড়রপতি’‌তেও আনন্দকুমারকে নিয়ে‌ অনুষ্ঠান করেছিলেন অমিতাভ। আর এবার এলো তার জীবনী ছবি। সেখানে তার ভূমিকায় ঋত্বিক রোশন। ছবিতে অবশ্য এই চরিত্রের নাম হয়েছে ‘‌কুমার’‌।

ঋত্বিক জানিয়েছেন, ‘‌সুপার ৩০’‌ ছবি আমার কাছে অক্সিজেনের মতো কাজ করেছে। আমাকে নতুন জীবন দিয়েছে। নাহলে আমার জীবন তো রুটিনে বাঁধা। সেই প্রতিদিন সকাল ৬টায় ঘুম থেকে ওঠা আর তারপর আমার পিঠের ব্যাথা, ভাঙা হাঁটু, ভাঙা কাঁধ আর সর্বাঙ্গের ভাঙা হাড় নিয়ে কাজে যাওয়া।’‌

তিনি জানান, ‘‌এখন স্টারডমের ধারণাটা বদলে গেছে। আগে স্টারেরা ছিল ভগবানের মতো। সাধারণ মানুষের কাছে তাদের দেখা পাওয়া ছিল ভগবানকে ছোঁয়ার সামিল। এখন কিন্তু স্টারেরা নিজেরাই সেই ধারণাটাকে ভেঙে দিয়েছেন। বরুণ ধাওয়ান বা রণবীর কাপুরের দিকে তাকান। ওরা কিন্তু সাধারণ মানুষের মতোই ঘুরে বেড়াচ্ছেন আবার একই সঙ্গে হিট ছবিও দিচ্ছেন।’‌

তবে এই ছবি নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। ছবির মাঝপথেই পরিচালক বিকাশ বেহলের প্রতি #মিটু‌ অভিযোগ এসেছে এক মহিলাকে যৌন হেনস্থা করার কারণে। আবার যার জীবনী ছবিতে অভিনয় করছেন ঋত্বিক রোশন সেই আনন্দকুমারের চার ছাত্র তার সম্পর্কে অভিযোগ এনেছেন, তার ‘‌সুপার ৩০’‌ পুরোটাই অনৈতিক। একটা ফাঁপা প্রচার মাত্র।

ছবিতে ঋত্বিক রোশনের স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মৃণাল ঠাকুর। আর ছবিতে ঋত্বিক রোশনের বাবার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ‌বীরেন্দ্র সাক্সেনা। ছবির শুটিং হয়েছে রামনগর ফোর্ট ও রাজস্থানের কোটায়। সূত্র: আজকাল।


শর্টলিংকঃ