আমের জুসে আম নেই, বিষাক্ত কেমিক্যালে তৈরি শিশুখাদ্য


ইউএনভি ডেস্ক: 

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের মোমিনবাগ এলাকায় অবস্থিত ‘আমু ফুড অ্যান্ড বেভারেজ’। প্রতিষ্ঠানটির কারখানা আর গুদাম একই ভবনে। সেখানে স্তরে স্তরে সাজানো ৬০০ কার্টন ‘আমের জুস ও আইস ললি’। এগুলো শিশুখাদ্য হিসেবে বাজারে বিক্রি হয়ে আসছে। কিন্তু শিশুদের এই খাদ্যের পুরোটাই বিষে ভরা।

রাসায়নিক রং, আমের রাসায়নিক ফ্লেভার ও স্যাকারিন দিয়ে তৈরি হয় কথিত এই আমের জুস। আইস ললিও তৈরি হয় রাসায়নিকে। শিশুখাদ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকারী ওই প্রতিষ্ঠানে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) এবং র‌্যাব-১০-এর যৌথ অভিযানে বেরিয়ে আসে এমন ভয়ংকর চিত্র।

সোমবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত এ অভিযানের পর ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রতিষ্ঠানটিকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন। শুধু ওই প্রতিষ্ঠানটিই নয়, এনএসআই এবং র‌্যাবের গতকালের অভিযানে একই এলাকায় ব্যাগ তৈরির মেশিনে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সার্জিক্যাল মাস্ক তৈরির কারখানারও সন্ধান পাওয়া যায়। এ ছাড়া নকল তার তৈরির কারখানায়ও চালানো হয় অভিযান।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব দেওয়া র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম সমকালকে জানান, আমু ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কারখানায় শিশুদের কাছে জনপ্রিয় ‘আইস ললি’ তৈরি হতো। এ ছাড়া সেখানে শিশুদের জন্য আমের জুস তৈরি হয়। কিন্তু এসব শিশুখাদ্য বিষাক্ত রাসায়নিক উপাদনে তৈরি করা হতো। এসব উপাদানে শিশুর কিডনির ক্ষতি হয় এবং ক্যান্সারের মতো রোগও হয়। কারখানাটিকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ওই এলাকায় সার্জিক্যাল মাস্ক তৈরি ও বিপণনের তিনটি কারখানার সন্ধান মেলে। এসব কারখানার মধ্যে একটিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মাস্ক তৈরি হচ্ছিল। অপর একটি কারখানায় অনুমোদন-সংক্রান্ত কাগজপত্র না থাকার পরও চীন থেকে মাস্ক তৈরির মেশিন আমদানির প্রমাণ মেলে। ওই দুটি প্রতিষ্ঠানকে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে মাস্ক তৈরি এবং দ্রুত অনুমোদন নেওয়ার জন্য সতর্ক করা হয়েছে।

তবে অপর একটি কারখানায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ব্যাগ তৈরির কারখানায় মাস্ক তৈরি করায় কারখানাটিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া নকল তার তৈরির একটি কারখানাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।


শর্টলিংকঃ