নিজস্ব প্রতিবেদক :
জেলা পরিষদের জায়গা দখল করে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) সদর দপ্তরের ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার সকালে আরএমপি কমিশনারের কার্যালয়ে সভা করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সদস্যরা।
সভার শুরুতেই জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার জমি নিয়ে জটিলতার বিষয়টি আরএমপি কমিশনার হুমায়ুন কবীরকে অবহিত করেন। সভায় জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আহসান হাবিব বলেন, নগরীর সিঅ্যান্ডবি মোড়ে জেলা পরিষদের সদর ডাকবাংলোটি আগে ৫ দশমিক ৯৪ একর জমি নিয়ে ছিল। এর মধ্যে দীর্ঘ দিন আগে জমির পশ্চিম দিক থেকে ১ দশমিক ৩৯ একর জমি আরএমপির কাছে বিক্রি করা হয়।
সেখানে আরএমপির সদর দপ্তর করা হয়। এরপর বাকি ৪ দশমিক ৫৫ একর জমিও বিক্রি করার জন্য আরএমপির পক্ষ থেকে জেলা পরিষদে প্রস্তাব পাঠানো হয়। কিন্তু তখন জেলা পরিষদে নির্বাচিত চেয়ারম্যান না থাকার কারণে জমি বিক্রি করা যায় নি। ওই সময় জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, নির্বাচিত চেয়ারম্যান আসার পর বিষয়টি বিবেচনা করে দেখা হবে।
পরবর্তীতে নির্বাচনের মাধ্যমে জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান এলেও পুলিশের কাছে জমি বিক্রি করা হয় নি। কিন্তু তারপরও জেলা পরিষদের জমিতে গত ফেব্রুয়ারি থেকে আরএমপির স্থায়ী সদর দপ্তর ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। এ জন্য সদরে জেলা পরিষদের একমাত্র ডাকবাংলোটিও ভেঙে ফেলা হয়েছে। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান দাবি করেন।
এ সময় আরএমপি কমিশনার হুমায়ুন কবীর বলেন, জমি নিয়ে এমন জটিলতার কথা কেউ তাকে জানায় নি। জেলা পরিষদ যেমন একটি মন্ত্রণালয়ের অধীনে তেমনি আরএমপিও একটি মন্ত্রণালয়ের অধীনে। দুটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে জমি নিয়ে এমন জটিলতা থাকলে সেটি সরকারিভাবেই সমাধান হবে। কারণ, বিরোধপূর্ণ জায়গায় এতো টাকা খরচ করে কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠান হতে পারে না।
সভায় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন আরএমপির উপ-কমিশনার (সদর) তানভীর হায়দার চৌধুরী, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-৩ নার্গিস আক্তার, সদস্য আবুল ফজল প্রামানিক, আসাদুজ্জামান মাসুদ, এমদাদুল হক, সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের সদস্য জয়জয়ন্তী সরকার মালতি প্রমুখ।
