Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

আর্মেনিয়ার ঘাঁটিতে গোলাবর্ষণ, ট্যাংকসহ বহু সেনা হতাহত


ইউএনভি ডেস্ক:

আর্মেনিয়ার সামরিক সরঞ্জামে ব্যাপক গোলাবর্ষণ করেছে আজারবাইজানের সেনাবাহিনী। এতে আর্মেনিয়ার দুটি ট্যাংক ও সামরিক যানবহনসহ ব্যাপক সেনাসদস্যদের প্রাণহানি ঘটেছে। আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এমন হামলার দুটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে।


মঙ্গলবার আজেরি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে আর্মেনিয়ার অধিকৃত অঞ্চলগুলো দখলমুক্ত করতেই এ হামলা চালানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আর্মেনিয়ার বিরুদ্ধে আগদারা, আগদাম, ফুজুলি, হাদরুত,জাবরাইল, কাবাদলি ও জাংগিলান অঞ্চলে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এতে বলা হয়, অভিযানে টি-৭২ ট্যাংক, চারটি গ্রেড মিসাইল সিস্টেম, একটি ডি-৩০ হাউইটজার এবং পাঁচটি সামরিক যান ধ্বংস করে আজারবাইজান। এসব সামরিক সরঞ্জাম আর্মেনিয়ার বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গোলাবর্ষণে বেশকিছু আর্মেনীয় সেনাবাহিনীর সদস্য নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে এবং আজারবাইজানের সেনাবাহিনী ওই এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে সম্মুখে অগ্রসর হয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

২৭ সেপ্টেম্বর থেকে বিরোধীয় নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান নতুন করে যুদ্ধে জড়ায়।পরবর্তীতে ১০ অক্টোবর রাশিয়ার মধ্যস্থতায় আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে ম্যারথন আলোচনা হয়।

১১ অক্টোবর থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যুদ্ধবিরতির কয়েক মিনিটের মধ্যেই আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান পরস্পরকে সাময়িক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘেনের জন্য অভিযুক্ত করে।

দ্বিতীয়বারের মতো শনিবার (১৭ অক্টোবর) রাত থেকে যুদ্ধবিরতির পরপরই গানজাতে আর্মেনিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১৩ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে চারজন নারী ও তিনজন শিশু রয়েছে। এ ছাড়া হামলায় আহত হয়েছেন ৫০ জন।

কারাবাখ অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃত। তবে ওই অঞ্চলটি জাতিগত আর্মেনীয়রা ১৯৯০’র দশক থেকে নিয়ন্ত্রণ করছে। ওই দশকেই আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের সঙ্গে যুদ্ধে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়।

আজভিশন ও ডেইলি সাবাহ


Exit mobile version