আ’লীগে এখন কর্মীর চেয়ে নেতা বেশি : রাজশাহীতে কাদের


নিজস্ব প্রতিবেদক :

আওয়ামী লীগে কোনো দুর্নীতিবাজ বা সন্ত্রাসীর ঠাঁই হবে না বলে আবারো সাফ জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন,  আমার মনে হচ্ছে আওয়ামী লীগে এখন কর্মীর চেয়ে নেতাই বেশী। মঞ্চ আর বিলবোর্ডের দিকে তাকালে খালি নেতা দেখা যায়। আমরা এতো নেতা চাই না। সাচ্চা কর্মী চাই’।  

রোববার দুপুর পৌনে ১২টায় রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন উদ্বোধন করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি নেতাকর্মীদের সতর্ক করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে ভোগের মানসিকতা থেকে বেরিয়ে সেবার আদর্শ ধারণ করতে হবে। চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, সন্ত্রাস ও মাদককে না বলুন। ক্ষমতা চিরদিন থাকে না। আওয়ামী লীগও চিরদিন ক্ষমতায় থাকবে না। থাকবে কীর্তি। তাই ভোগের লিপ্সা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

দলের শীর্ষ নেতাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, পকেট কমিটি করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ছোট করবেন না। দুঃসময়ের ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করতে হবে। পকেট কমিটি করলে দল সুবিধাবাদীদের পকেটে চলে যাবে। তাই সুবিধাবাদীদের দরকার নেই দলে। পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের দিয়ে আওয়ামী লীগকে ঢেলে সাজানোরও নির্দেশ দেন তিনি।

আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি সরকার হঠাতে ষড়যন্ত্র করছে-এমন অভিযোগও করেন সেতুমন্ত্রী । তিনি বলেন, বাংলার বাতাসে আবারো সাম্প্রদায়িক শক্তির গন্ধ। তারা যাতে আর কোনোদিন ক্ষমতায় আসতে না পারে সেজন্য জনগণকে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানান ‍তিনি।

এদিকে, জামায়াত-শিবির আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ করে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে বলে মন্তব্য করেন, দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। আর যুগ্ম সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ বলেন, বিএনপির রাজনীতি এখন বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা ও তারেক রহমানের স্কাইপের মধ্যে বন্দি।  বিএনপি আমাদের প্রতিপক্ষ হলেও দলের ভেতরেও এখন প্রতিপক্ষ দাঁড়িয়ে গেছে। এরা হলো আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকর্মীর ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ। এসব নেতাকর্মীর কোনো দায় নেবে না আওয়ামী লীগ।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, শেখ হাসিনা ও তার সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র থেমে নেই। দলের নাম ভাঙিয়ে যারা অবৈধ কর্মকাণ্ড করছে তাদের তালিকা করেছে সরকার।মুজিববর্ষে তাদের বিরুদ্ধেও অ্যাকশন হবে।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, নির্বাহী সদস্য নুরুল ইসলাম ঠাণ্ডু ও বেগম আকতার জাহান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার।

উদ্বোধনী পর্বের পরই রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। এরপরই মঞ্চে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে খায়রুজ্জামান লিটন ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ডাবলু সরকারের নাম ঘোষণা করেন ওবায়দুল কাদের। সদ্য বিলুপ্ত কমিটিতেও তারা একই পদে ছিলেন।


শর্টলিংকঃ