Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

আশ্বিনাতে জমেছে কানসাট বাজার


তারেক রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ  :
বিগত কয়েক বছর আমের নায্যমূল্য না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছিল চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পুরো চিত্র উল্টো। মৌসুমের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত চাহিদামতই দাম পাচ্ছেন এখানকার ব্যবসায়ীরা। ফলে ব্যস্ত সময় পার করছেন আম সংশ্লিষ্টরা।

সাধারনত চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের মৌসুম শেষ হয় আগষ্ট মাসের শুরুর দিকে। এবার আশ্বিনা আমের যত্ন নেয়ায় বাজারে আম পাওয়া যাবে সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত। সর্ব শেষ তথ্যঅনুযায়ী বুধবার কানসাট বাজারে আম বিক্রি হয়েছে মন প্রতি ৪ হাজার থেকে শুরু করে সাড়ে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত।

সকালে কানসাট বাজারে গিয়ে দেখা যায়,মৌসুম শুরুরমত এখনও পুরো বাজারে রয়েছে আম ভর্তি সাইকেল ও ভ্যানে ভরা। ব্যবসায়ীদের কেনা বেচায় মুখর পুরো বাজার।

সেলিমাবাদ এলাকা হতে বাজারে এক ভ্যান (৮মন)আম নিয়ে বিক্রির জন্য এসেছিলেন আবু জাওয়াদ দাদখান নামে এক বাগানি। তিনি বলেন,গত বছরগুলোতে আমের দাম না পাওয়ায় আমের তেমন যত্ন নেয়া হয়নি। এবার আমের ভাল দামের আসায় প্যাকেট করা হয়। তাদের বাগানের আম আরও প্রায় ১৫ দিন বাগানেই রাখা যাবে। তিনি আরও বলেন প্রতিমন আশ্বিনা আম বিক্রি করেছেন সাড়ে ৪ হাজার টাকায়। সময় যতই পার হবে আমের দাম ততই বাড়বে বলে আশা করেন এই বাগানি।

বেলাল বাজার এলাকার বাগান মালিক জসিম জানান,এখনও তার বাগানে প্রায় ১০০ মন আম রয়েছে। সে আম বিক্রি করে গত কয়েক বছরের দাম পুশিয়ে নিতে পারবেন। তিনিও বুধবার কানসাট বাজারে আম আনেন দুই ভ্যান। সবগুলো আম বিক্রি করেছেন সাড়ে ৪ হাজার টাকায়।

তবে বেশ কয়েকজন আম বাগানি অভিযোগ করে বলেন,ঢাকা ও চট্রগ্রামের বাজারে সয়লাব হয়ে গেছে ভারতীয় চোষা আমে। ভারতীয় আম আমদানি বেড়ে যাওয়ায় কমে এসেছে দেশীয় আমের মূল্য। যদি ভারতীয় আম আমদানি না হত-তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রতিমন আশ্বিনা আম বিক্রি হত ১০ হাজার টাকা মনে। তারা আমের মৌসুমে ভারতীয় আম আমদানি বন্ধে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।


Exit mobile version