আস্থা ভোটে হেরেও নেপালের প্রধানমন্ত্রী হলেন ওলি


ইউএনভি ডেস্ক:

আস্থা ভোটে হেরে যাওয়ার পর আবারও নেপালের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন কেপি শর্মা ওলি। বৃহস্পতিবার তাকে পুনরায় নিয়োগ দেন প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবি ভান্ডারি।

এনডিটিভি জানিয়েছে, বিরোধী দলগুলো সরকার গঠনের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হওয়ায় পার্লামেন্টের সবচেয়ে বড় দলের নেতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ পান ওলি।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নেপালের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ভান্ডারি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ওলিকে পুনরায় নিয়োগ দিয়েছেন। নেপালের সংবিধানের ৭৮(৩) ধারা অনুযায়ী পার্লামেন্টের সবচেয়ে বড় দলের নেতা হিসেবে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। শুক্রবার ওলিকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন প্রেসিডেন্ট।

গত মার্চে সরকার থেকে জোটসঙ্গী ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি সমর্থন তুলে নেওয়ায় সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছিলেন ওলি। ফলে আস্থা ভোটের আগে হুইপ জারি করেছিল সিপিএম-ইউএমএল (কমিউনিস্ট পার্টি অফ নেপাল – ইউনিফায়েড মার্ক্সিট লেনিনিস্ট)।

গত সোমবার কেপি শর্মা ওলি পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে হেরে গেছেন। ওলির পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৯৩ জন সদস্য। বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ১২৪ জন। আর ভোটদানে বিরত ছিলেন ১৫ জন সংসদ সদস্য।

দীর্ঘদিন ধরেই দলের অভ্যন্তরে বিরোধিতার মুখে পড়ে আসছেন ওলি। বিরোধী গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে বারবার দাবি করা হয়, যে সাধারণ আহ্বায়ক কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওলি, তা যেন প্রত্যাহার করা হয়।

দলের অভ্যন্তরে যে সমস্যাগুলো মাথাচাড়া দিচ্ছিল, তা সমাধানের জন্য একসঙ্গে কাজের বার্তা দেওয়া হয়েছিল। তারইমধ্যে পুষ্পকুমার দাহাল ওরফে প্রচণ্ডের নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠীর চালে আরও চাপে পড়ে যান ওলি।

এছাড়াও করোনাভাইরাস মহামারী সামলানো নিয়ে দেশের অভ্যন্তরে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন ওলি। বিশেষত গত কয়েকদিনে যেভাবে দেশে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে, তাতে সেই সমালোচনার মাত্রা আরও বাড়তে থাকে। বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে ওষুধ, অক্সিজেন শেষ হয়ে যাওয়ার খবরও মিলতে থাকে। সেই পরিস্থিতিতে আরও কঠিন হয়ে ওঠে ওলির কাজ।


শর্টলিংকঃ