Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

ইউএনও ওয়াহিদার বাসায় টাকা ছিল ৪০ লাখ!


ইউএনভি ডেস্ক:

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমের বাসায় নগদ প্রায় ৪০ লাখ টাকা ছিল। ছিল স্বর্ণালঙ্কারও। কিন্তু হামলাকারী রবিউল ইসলাম নিয়েছে মাত্র ৫০ হাজার টাকা। বাকি টাকা আলমারিতে থাকায় রবিউল নিতে পারেনি। খোয়া যায়নি স্বর্ণালঙ্কারও।

জিজ্ঞাসাবাদে রবিউল জানিয়েছে, ইউএনও’র বাসায় নগদ টাকা আছে এটা সে ধারণা করেছিল। কিন্তু এত টাকা রয়েছে এই তথ্য তার জানা ছিল না। এছাড়া সে চেষ্টা করেও আলমারি খুলতে পারেনি। ক্ষোভ থেকে হামলা ও নগদ টাকা চুরির পরিকল্পনা করেছিল সে।

মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এবং মামলা সংক্রান্ত নথি ঘেঁটে এসব তথ্য জানা গেছে।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, ইউএনও’র বাসার সাবেক মালি ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী রবিউল আলমারি খুলতে পারেনি। সে ওয়াহিদা ও তার বাবা ওমর আলী শেখকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে অচেতন করে ওয়্যারড্রোবের ওপরে থাকা ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। যদি সে আলমারি খুলতে পারতো তাহলে হয়তো সব নগদ টাকাসহ স্বর্ণালঙ্কারও নিয়ে যেত।

গত ২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমের বাসায় ঢুকে অজ্ঞাত দুর্বৃত্ত তাকে ও তার বাবা ওমর আলী শেখকে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে আহত করে। বিষয়টি নিয়ে সারা দেশে তোলপাড় শুরু হলে দুই দিনের মাথায় এলিট ফোর্স র‌্যাব আসাদুল, নবিরুল ও সান্টু নামে তিন জনকে গ্রেফতারের পর তাদের জড়িত থাকার কথা জানায়। চুরির উদ্দেশ্যে ওই বাসায় আসাদুল, নবিরুল ও সান্টু ঢুকেছিল বলে জানিয়েছিল র‌্যাব। কিন্তু এর এক সপ্তাহ পর গত ১২ সেপ্টেম্বর পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্য সংবাদ সম্মেলন করে জানান, ইউএনও অফিসের বরখাস্ত হওয়া মালি রবিউল একাই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। একই সঙ্গে হামলায় ব্যবহৃত হাতুড়িও উদ্ধারের কথা জানান তিনি। পরে রবিউলকে ছয় দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ঘোড়াঘাটের ইউএনও ওয়াহিদা খানমের বাসায় রবিউলের বাইরে আর কারও সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে সাময়িক বরখাস্ত করার ক্ষোভ থেকে হামলা করেছে বলে সে জানিয়েছে। এখনও তদন্ত চলছে। তাকে ছয় দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্ত শেষ হলে হামলার মোটিফ বা উদ্দেশ্য সম্পর্কে পরিষ্কার করে বলা যাবে।’


Exit mobile version