ইন্টারনেটের কস্ট মডেলিং বাতিল!


ইউএনভি ডেস্ক:

ডেটার মূল্য নির্ধারণে কস্ট মডেলিং করা হলেও তা বাস্তবভিত্তিক না হওয়ায় প্রয়োগ করা হচ্ছে না।‘প্রস্তুতকৃত কস্ট মডেলিং এর প্রস্তাবিত ট্যারিফ বর্তমান আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটের তুলনায় অনেক বেশি’- এমন কারণ দেখিয়ে সেটি কার্যকর না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

ইন্টারনেটের কস্ট মডেলিং বাতিল!
ইন্টারনেটের কস্ট মডেলিং বাতিল!

বরং এখন ইন্টারনেটের ট্যারিফ কিভাবে কমানো যায় সেজন্য সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়ার দিকেই বরং হাঁটছে কমিশন।বিটিআরসির বৃহস্পতিবার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে পাওয়া গেছে এ তথ্য।গত বছর ১২ জুন বিটিআরসি’র একটি গণশুনানিতে ইন্টারনেটের মূল্য নির্ধারণের বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিবেদনে এমনটি উল্লেখ করা হয়।আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের মাধ্যমে একটি বিশেষজ্ঞ পরামর্শকের সহযোগিতায় ডেটার কস্ট মডেলিং করে বিটিআরসি।

মূলত ২০১৭ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ টাক্সফোর্সের নির্দেশে ২৫ হাজার ডলার খরচ করে এই কস্ট মডেলিং করা হয়।এর আগে ২০১০ সালে ভয়েস কলের কস্ট মডিলিং করে নূন্যতম প্রতি মিনিটের কল রেট নিজ অপারেটরে ২৫ পয়সা এবং অন্য অপারেটরে ৬০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়।এরহার ২০১৮ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত কার্যকর ছিল।২০১৮ সালের আগস্ট মাসে এসে অপারেটর ভেদে ভিন্ন ট্যারিফ তুলে দিয়ে সব অপারেটরের জন্য নূন্যতম রেট মিনিটে ৪৫ পয়সা নির্ধারণ করে দেয় বিটিআরসি। প্রশ্ন আসে এ বিষয়েও।

আরও পড়ুন: হ্যাকিংয়ের শুরু হয় যেসব পাসওয়ার্ড দিয়ে

এ বিষয়ে বিটিআরসি বলছে, রেট পরিবর্তনের ক্ষেত্রে তারা নতুন করে কস্ট মডেলিং না করলেও তাদের বিশেষায়িত বিভাগের পর্যালোচনার প্রেক্ষিতে এ পরিবর্তন করা হয়েছে।গণশুনানিতে সব মিলে এক হাজার ৩১৯ প্রশ্ন ও মতামত আসে। এগুলোর মধ্য থেকে অনেক যাচাই বাছাই করে কিছু প্রশ্ন উপস্থাপনের সুযোগ পান গ্রাহকরা।তবে এসব প্রশ্নের মধ্য থেকে আবার গুরুত্বপূর্ণগুলোই পরবর্তীতে উত্থাপনের কথা ছিল। আট মাস পরে হলেও বিটিআরসি বৃহস্পতিবার তা প্রকাশ করল। প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে কমিশন সব মিলে ২৫ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে।

অপর একটি প্রশ্নে উত্তরে বিটিআরসি ফোরজি’র কম গতি বিষয়ে মোবাইল ফোন অপারেটরেদের পক্ষ অবলম্বণ করে বলেছে, ইন্টারনেটের গতি পারিপার্শ্বিকতার দ্বারাও অনেককাংশে প্রভাবিত হয়। সে কারণে বিশেষ ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় এবং অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে মোবাইল নেটওয়ার্ক স্বক্ষমতার সুষম ব্যবহার নিশ্চিত করা যায় না।


শর্টলিংকঃ