‘ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি’


মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় রয়েছে। এমনটাই দাবি করেছেন ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)-এর একজন কমান্ডার। তার দাবি, এ অঞ্চলে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি ও বিমান ক্যারিয়ারগুলো তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় রয়েছে।

সৌদি আরবের দুই তেল স্থাপনায় ইরান সমর্থিত শিয়াপন্থী হুথি বিদ্রোহীদের ড্রোন হামলার একদিনের মাথায় এমন মন্তব্য করেন তিনি। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম তাসনিমের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স।

গত শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি আরামকোর মালিকানাধীন বড় দুটি তেল স্থাপনায় ড্রোন হামলার চালায় হুথি বিদ্রোহীরা। এর ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয় ওই স্থাপনা দুটি। সাম্প্রতিক হামলার কারণে তেলের উৎপাদন অর্ধেকে কমিয়ে আনছে রিয়াদ। এ হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পরে এ অঞ্চলের মার্কিন সামরিক ঘাঁটিও ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় রয়েছে বলে দাবি করেন আইআরজিসি-এর কমান্ডার।

ইরানের রেভ্যুল্যুশনারি গার্ডস কর্পস-এর মহাকাশ বাহিনীর প্রধান আমিরআলি হাজিজাদেহ বলেন, ‘সবার জেনে রাখা উচিত যে, ইরানের চারপাশে দুই হাজার কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে আমেরিকার সব ঘাঁটি ও বিমান ক্যারিয়ার। সেগুলো আমাদের ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় রয়েছে। ইরান সবসময়ই পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত।’
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তিকে ‘ক্ষয়িষ্ণু ও পচনশীল’ আখ্যা দিয়ে ২০১৮ সালের মে মাসে তা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন ট্রাম্প। আর নভেম্বরে থেকে তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল শুরু করে ওয়াশিংটন। এর প্রেক্ষিতে পারমাণবিক চুক্তির প্রতিশ্রুতি থেকে পর্যায়ক্রমে সরে যাচ্ছে তেহরান। এর ধারাবাহিকতায় চলতি মাসের গোড়ার দিকে তৃতীয়বারের মতো প্রতিশ্রুতি কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। এবারের ঘোষণায় পারমাণবিক গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার ওপর আরোপিত সব ধরনের সীমাবদ্ধতা তুলে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট। এই ঘোষণার পর দেশটির বিপ্লবী গার্ড বাহিনী সংশ্লিষ্ট তেল পরিবহন নেটওয়ার্কের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। দীর্ঘ দিন ধরে ওই দুই রাষ্ট্রের মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্র বিষয়ে বিরোধ নিয়ে বাকযুদ্ধ চলে আসছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ওই মন্তব্য করেন ওই ইরানি কমান্ডার।


শর্টলিংকঃ