ইসির মামলায় দুই দিনের রিমান্ডে সাবরিনা


করোনাভাইরাস পরীক্ষার রিপোর্ট জালিয়াতির মামলায় গ্রেপ্তার জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

তথ্য গোপন করে একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র নেওয়ার অভিযোগে করা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) এক মামলায় বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন তার বিরুদ্ধে দু্ই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ৩১ আগস্ট গুলশান থানা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মমিন মিয়া বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় ওই মামলা করেন। এরপর ১ সেপ্টেম্বর এ মামলায় সাবরিনাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার এসআই মমিনুল ইসলাম।

করোনাভাইরাসের পরীক্ষা নিয়ে জালিয়াতির মামলায় বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন সাবরিনা।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আবেদন করে পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহের দায়িত্ব নিয়েছিল ওভাল গ্রুপের প্রতিষ্ঠান জোবেদা খাতুন হেলথকেয়ার (জেকেজি)। পরে বেরিয়ে আসে, সরকারের কাছ থেকে বিনামূল্যে নমুনা সংগ্রহের অনুমতি নিলেও বুকিং বিডি ও হেলথকেয়ার নামে দুটি সাইটের মাধ্যমে টাকা নিচ্ছিল জেকেজি। নমুনা পরীক্ষা না করে রোগীদের ভুয়া সনদও দিচ্ছিল তারা।

এসব অভিযোগে গত ২৩ জুন ডা. সাবরিনার স্বামী ও জেকেজির সিইও আরিফ চৌধুরীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন ২৪ জুন জেকেজির কর্মচারী হুমায়ুন কবীর ও তানজিনা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। এ ঘটনায় তেজগাঁও থানায় মোট চারটি মামলা করা হয়। পরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জেকেজির সঙ্গে করা করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহের চুক্তি বাতিল করে। ১২ জুলাই জেকেজির জালিয়াতির মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেপ্তার দেখানো হয় ডা. সাবরিনাকে। এরপর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট থেকেও সাময়িক বরখাস্ত হন তিনি।


শর্টলিংকঃ