- ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ - https://universal24news.com -

ই-গভর্নেন্সে এগোচ্ছে দেশ, এইআই প্রযুক্তিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ


দেশে ‘গুড গভর্নেন্স’ তথা সুশাসন নিশ্চিত করতে সরকার তার কার্যক্রম এবং সব ধরনের সেবা অনলাইনে দিতে ইন্টারনেট গভর্নেন্স বা ই-গভর্নেন্সের পথে বেশ জোরেশোরেই এগোচ্ছে। জাতিসংঘের একটি সূচকও একই কথা বলছে। এরইমধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ডিজিটাল ইকোসিস্টেম তৈরিও সম্পন্ন হয়েছে।

বিগ ডাটা, রোবটিকস, অগমেন্টেড রিয়েলিটি ও ইন্টারনেট অব থিংসে (আইওটি) বাংলাদেশ বেশি মনোযোগী হলেও এআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) প্রযুক্তির গবেষণা ও এর ব্যবহারে দেশ পিছিয়ে আছে বলে সংশ্লিষ্টরা অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

সংশ্লিষ্টদের মতে, দেশে মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা এ খাতের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। ইউডিসি বা ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার, পোস্ট ই-সেন্টার তৈরি, জাতীয় তথ্য বাতায়ন, ৫০০ অ্যাপস, মোবাইল সিম নিবন্ধনে বায়োমেট্রিক পদ্ধতির প্রয়োগ ইত্যাদি ই-গভর্নেন্সের পথে দেশকে অনেক দূর এগিয়ে দিয়েছে।

অন্যদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অবাধ ব্যবহার, অপব্যবহারের কারণে এসব খাতে বিশৃঙ্খলা এড়াতে, অনলাইনে নিরাপত্তা দিতে আরও যা প্রয়োজন (নীতিমালা, গাইডলাইন ইত্যাদি) সেগুলো দ্রুত করার তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষ করে এআই প্রযুক্তিতে বাংলাদেশ পিছিয়ে রয়েছে বলে মত দিয়েছেন তারা। দেশে কিছু প্রতিষ্ঠানের এআইভিত্তিক চ্যাটবট তৈরি, ব্যবহার এবং ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বল্প ব্যবহার কোনও সুখকর চিত্র দেয় না বলে তারা মনে করেন। এই খাতে এআই আরও স্বচ্ছতা দিতে পারে বলে উল্লেখ করেন তারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ক্ষেত্রে উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশ জাতিসংঘের ই-গভর্নমেন্ট জরিপে ১৫০তম স্থান থেকে ১১৫তম অবস্থান অর্জন করে। জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক সম্পর্ক বিভাগ (ইউএনডেসা) পরিচালিত ই-সরকার ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্স (ইজিডিআই) অনুযায়ী, ৩৫ ধাপ এগিয়ে ১৯৩টি দেশের মধ্যে ১১৫তম স্থান অর্জন করেছে। ২০১৬ সালে এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১২৪, ২০১৪ সালে ১৪৮ ও ২০১২ সালে অবস্থান ছিল ১৫০তম।