ঈদের ছয় দিন পরেও অস্বাভাবিক পাবনা-ঢাকাসহ বিভিন্ন রুটের বাস ভাড়া


কলিট তালুকদার, পাবনা:
ঈদের ছয়দিন পরও স্বাভাবিক হয়নি পাবনা-ঢাকাসহ বিভিন্ন রুটের বাস ভাড়া। এখনও লাগামহীনভাবে যাত্রীদের কাছ থেকে বেশি ভাড়া আদায় করছেন বাস মালিকরা। এতে করে কর্মস্থলে ফিরতে গিয়ে দূর্ভোগে পড়ছেন যাত্রীরা। আর বাস মালিকপক্ষ বলছেন, ঈদের কারণে যাত্রীদের চাপ থাকলেও ভাড়া বাড়েনি। আবার অনেক মালিক পক্ষ বলছে ঢাকা থেকে বাস গুলি খালি আসছে যে কারণে খরচ পুসিয়ে নিতে কোন কোন মালিক বাস ভাড়া বাড়িয়েছে।


ঈদের আনন্দ স্বজনদের সাথে ভাগাভাগি করতে বেশি ভাড়া দিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নানা ঝক্কি ঝামেলা শেষে বাড়িতে ফিরেছিলেন বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষ। ঈদ শেষ, তাই এবার কর্মস্থলে ফেরার পালা। ঢাকা যাচ্ছেন এমন কয়েকজন যাত্রীর সাথে আলাপকালে তারা জানান, প্রথমদিকে যাত্রীদের প্রচন্ড চাপ আর অতিরিক্ত ভাড়ার কারণে অনেকে সিদ্ধান্ত নেন কিছুৃদিন পর যাবার।

কিন্তু ঈদের ছয়দিন পার হলেও সে পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। এখনও বাস কাউন্টারগুলোতে ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ থাকায় ভাড়াও নেওয়া হচ্ছে বেশি। সাধারণত পাবনা থেকে ঢাকার ভাড়া ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা। কিন্তু ঈদের পর থেকে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা ভাড়া নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।

আবার কারও কাছ থেকে এর চেয়ে বেশিও নেওয়া হচ্ছে। অনেকে বেশি দামেও টিকেট না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। অনেক যাত্রীর অভিযোগ, বেশি ভাড়া দিয়ে যাচ্ছি তা ঠিক আছে কিন্তু যাত্রী সেবার মান ভাল নয়। পাবনা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের যে নাজুক অবস্থা তাতে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে দাঁড়ানোর পরিবেশ নেই। অসংখ্য গর্তে ভরা টার্মিনাল এলাকা। বিশুদ্ধ পানি ও টয়লেটের সুষ্ঠু ব্যবস্থাও নেই।

যাত্রীদের অভিযোগের বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন টিকেট মাস্টার বলেন, মালিকের নির্দেশেই বেশী ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। তারা আরো বলেন ঈদের পর ঢাকা থেকে খালি গাড়ি আসে সেজন্য সামান্য কিছু ভাড়া বৃদ্ধি হয়।

পাবনা জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি ফিরোজ খান বলেন, ভাড়া বেশি নেওয়ার অভিযোগ আমাদের কাছে নেই। তবে অন্যান্য সময়ে ২০-৫০ টাকা কম নিলেও এখন সেটা নেওয়া হচ্ছেনা। সরকার নির্ধারিত চার্ট অনুযায়ী নির্ধারিত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। কোনো মালিক যাতে বেশি ভাড়া না নেন সে বিষয়েও আমরা সতর্ক আছি।


শর্টলিংকঃ