উত্তেজনার মধ্যেই ইরান যাচ্ছেন কাতারের আমির


ইউএনভি ডেস্ক:

মার্কিন হামলায় আল-কুদস ফোর্সের প্রধান কাসেম সোলাইমানি নিহত হওয়ার পর শুরু হওয়া আঞ্চলিক উত্তেজনার মধ্যে ইরান সফরে যাচ্ছেন কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল সানি। রোববার তেহরান পৌঁছানোর পর প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিনি।

কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল সানি
কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল সানি

ইরান সফরে আমিরের সঙ্গে কাতারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা থাকছেন বলে আল জাজিরা জানিয়েছে। দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যুও এই সফরের আলোচনায় স্থান পাবে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।

এর আগে কাসেম সোলাইমানি নিহত হওয়ার পরই আঞ্চলিক উত্তেজনার মধ্যে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ।

গত শনিবার মধ্যপ্রাচ্যের নতুন পরিস্থিতি, জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে গুপ্তহত্যা ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছেন জারিফ ও তার কাতারি সমকক্ষ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল সানি।

গত শুক্রবার সকালে বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার সময় ড্রোন হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয় আল-কুদস ফোর্সের প্রধান ও বিপ্লবী গার্ডস বাহিনীর কমান্ডার মেজর জেনারেল কাসেম সোলাইমানি ও ইরাকের হাশেদ নেটওয়ার্কের কমান্ডার আবু মাহদি আল মুহান্দিসকে।

এতে ইরানজুড়ে শোক ছড়িয়ে পড়েছে ও মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হওয়ার জেরে মঙ্গলবার ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে ইরান। ওই দিনই ইউক্রেনের একটি যাত্রীবাহী বিমানে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানলে সবযাত্রী ও ক্রুরা নিহত হয়।

সামরিক বাহিনীর অনিচ্ছাকৃত ভুলে ১৭৬ আরোহীসহ ইউক্রেনের একটি যাত্রীবাহী বিমান ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ভূপাতিত করার কথা গতকাল শনিবার তেহরান স্বীকার করে।

শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ ইরানের সঙ্গে কাতারের সম্পর্ক সুন্নিশাসিত সৌদি আরব ও তাদের মিত্রদের সঙ্গে দোহার সংকটের বড় কারণ হিসেবে বলা হয়ে থাকে।

২০১৭ সালে কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব, বাহরাইন, আরব আমিরাত ও মিসর। দোহার বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ, দেশটি ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখছে ও সন্ত্রাসবাদ উসকে দিচ্ছে। কাতার এসব অভিযোগ শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছে।


শর্টলিংকঃ