- ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ - https://universal24news.com -

উন্মুক্ত হলো ‘রুপালি গিটার’


স্টিলের পাত দিয়ে তৈরি একটি গিটার। সাড়ে চার ফুট উচ্চতার বেদিতে বসানো আছে গিটারটি। সূর্যের আলোয় চিক চিক করে ওঠে। আর রাতের আঁধারে আউটডোর লাইটের প্রতিবিম্ব সৃষ্টি করে এক মনোরম দৃশ্যের। লাইটের আলো যখন আছড়ে পড়ে ফোয়ারার পানিতে, তখন উদাস হয়ে যেতে পারে যে কারও মন। চট্টগ্রাম নগরীর প্রবর্তক মোড়ে বসানো ‘রুপালি গিটার’-এর চারপাশটা এমনই। গোলপাহাড় মোড় থেকে প্রবর্তকের দিকে যাওয়ার পথে গোলচত্বরে চোখে পড়বে এই গিটারটি।

 

জনপ্রিয় ব্যান্ডশিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর স্মৃতি রক্ষার্থে গিটারটি স্থাপন করা হয়েছে। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ভাস্কর্যটির উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। এ সময় তিনি বলেন, ‘জনপ্রিয় ব্যান্ডশিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর স্মৃতি রক্ষার্থে স্থাপন করা হলো এই রুপালি গিটার। আশা করছি এটি বাচ্চুর স্মৃতি সংরক্ষণে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।’ তিনি সবাইকে এই ভাস্কর্যের সৌন্দর্য রক্ষায় সচেতন থাকার আহ্বান জানান।

প্রবর্তক মোড়ের সৌন্দর্যবর্ধনের অংশ হিসেবে এই গিটারটি সেখানে স্থাপন করেছে অডিওস ইঙ্ক ও স্ক্রিপ্ট নামে দুটি প্রতিষ্ঠান। গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর এই দুটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। এরপর করপোরেশন ওই মোড়ে আইয়ুব বাচ্চুর রুপালি গিটারের আদলে একটি গিটার ভাস্কর্য বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রবর্তক মোড়ে বসানো হলো এই গিটার।

সিটি করপোরেশনের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ একেএম রেজাউল করিম বলেন, ‘সৌন্দর্যবর্ধনের অংশ হিসেবে এই গিটারটি নান্দনিক এবং শৈল্পিকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের রুপালি গিটার স্থাপন ছাড়াও প্রবর্তক মোড়ের চারপাশে রোড বিউটিফিকেশন, ওয়াকওয়ে নির্মাণ, দেয়ালে ম্যুরাল, সবুজায়ন ইত্যাদি কাজ সম্পন্ন করা হবে।’

সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, অডিওস ইঙ্ক ও স্ক্রিপ্ট-এর সঙ্গে স্বাক্ষরিত ওই চুক্তি অনুযায়ী প্রবর্তক মোড় থেকে গোলপাহাড় মোড় পর্যন্ত মিড আইল্যান্ড, উভয় পাশের ফুটপাত, গোলচত্বরসহ প্রায় ৪৫০ মিটার এলাকায় আধুনিকায়নের মাধ্যমে সৌন্দর্যবর্ধন করা হবে। পরিকল্পনায় প্রবর্তক গোলচত্বরে স্কালপচার টাওয়ার স্থাপন, মিড আইল্যান্ড ও ফুটপাতের ল্যান্ডস্কেপিং, গোলপাহাড় মোড় থেকে প্রবর্তক মোড় পর্যন্ত রাস্তার পাশে সীমানা প্রাচীরের ম্যুরাল/গ্রাফিতি তৈরি, আলোকসজ্জার ব্যবস্থা, বসার স্থান তৈরি, আধুনিক গণশৌচাগার (প্রতিবন্ধীবান্ধব), পুরুষ-মহিলাদের জন্য পৃথক টয়লেট, ওয়াশরুম, ইউরিন্যাল ইউনিট, পর্যটন সেবা স্টল ও যাত্রী ছাউনি স্থাপনের কথা রয়েছে।