একজন মা হিসেবে আবরার হত্যাকাণ্ডের বিচারের অঙ্গীকার প্রধানমন্ত্রীর


বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে যখন পুরো দেশ উন্মাতাল তখন একজন মা হিসেবে এই হত্যাকাণ্ডের বিচারের অঙ্গীকার করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

৯ অক্টোবর দিবাগত রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও ছাত্রলীগ নেতাদের অনির্ধারিত আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের একচুলও ছাড় দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘শুধু প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নই, একজন মা হিসেবে এ হত্যার বিচার করব। এ ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ধরণের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছি। জড়িতদের আটক করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের পরেও আবরার হত্যাকাণ্ড নিয়ে ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা চলছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি তো ব্যবস্থা নিচ্ছি। তারপরও কীসের আন্দোলন? বিএনপির আমলে মেধাবী শিক্ষার্থী সাবিকুন নাহার সনি হত্যার বিচার তো হয়নি। ছাত্রদের মিছিল পর্যন্ত পুলিশ করতে দেয়নি। আমরা তো সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছি। আমি তো দল দেখিনি? বিভিন্ন জন বিভিন্ন জায়গা থেকে নানা ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করছে। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সজাগ থাকতে হবে।’

উপস্থিত নেতারা জানান, বুয়েটের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী খুবই মর্মাহত। এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে বিমর্ষ দেখা যায়। বৈঠক সূত্র জানায়, বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যায় মর্মাহত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ও তো বাচ্চা ছেলে, ২১ বছরের ছেলে। ওর ভিন্নমত থাকতেই পারে। তাই ওকে এমন নির্মমভাবে পিটিয়ে মেরে ফেলতে হবে? যারা মেরেছে তারাও তো একই ক্লাসে পড়ে? কীভাবে এটা সম্ভব? বন্ধু হয়ে বন্ধুকে পিটিয়ে মেরে ফেলবে? একটুও মায়া লাগেনি? ও (আরবাব) মোংলা বন্দরের কথা বলেছে, আসলে সে সময় তো মোংলা বন্দর ছিল না। এটা ছিল চালনা বন্দর নামে আরেকটি জায়গা। ও ছোট মানুষ। ওর ভিন্নমত থাকতেই পারে। কিন্তু এভাবে মারতে হবে? এটা কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। সর্বোচ্চ শাস্তি পেতেই হবে।’


শর্টলিংকঃ