ইউএনভি ডেস্ক:
নোকিয়া ও এরিকসনের এক হওয়ার একটি সম্ভবনা তৈরি হয়েছে। যদিও বিষয়টি খুবই সময়সাপেক্ষ এবং অনেকগুলো বিষয়ের উপর নির্ভরশীল। তবে সব প্রতিবন্ধকতাকে কাটিয়ে দুটি কোম্পানি যদি এক হয়ে যায় তাহলে নোকিয়া-এরিকসন হবে বিশ্বের ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক মার্কেটের সবচেয়ে বড় অংশীদার।
এই মুহূর্তে ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক মার্কেটের এরিকসন ২৭ শতাংশ ও নোকিয়া ২১ শতাংশ দখল করে আছে। অর্থাৎ এই দুই কোম্পানি মিলিত হলে এই বাজারে হুয়াওয়ের আধিপত্য শেষ হয়ে যাবে। কারণ ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক মার্কেটের কেবল ২৮ শতাংশ হুয়াওয়ের দখলে আছে ।
এই মার্জারের পথে প্রথম প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা। ধারনা করা হচ্ছে এমন মার্জারের জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন নিতেই লেগে যাবে কয়েক বছর। আর ব্যবসায়িক বিষয়গুলো এক করতেও লাগবে আরও অনেক সময়। দ্বিতীয় প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে নোকিয়া কোম্পানিটির একটি বড় শেয়ার দখল করে আছে ফিনল্যান্ড সরকার। ফলে দেশে বড় ধরনের বেকারত্ব তৈরি হয় এমন যে কোনও সিদ্ধান্তকেই তারা নাকচ করবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
তৃতীয়ত যেহেতু নোকিয়া ফিনল্যান্ডের কোম্পানি এবং এরিকসন সুইডেনের কোম্পানি তাই এই দুটি কোম্পানির মার্জার হলে ফাইভজি শ্রেষ্ঠত্ব ইউরোপে চলে যাবে যা যুক্তরাষ্ট্রের জন্যেও সুখবর নয়।সম্প্রতি নোকিয়া সম্পদ বিক্রয় ও মার্জারের কথা ভাবছে এমন একটি খবর প্রকাশিত হলে এই আলোচনা শুরু হয়।
তবে অ্যানালিস্টরা মনে করে নোকিয়ার এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে আপাতত বিরত থাকা উচিত কারণ কোম্পানিটির কাছে মার্কেটের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ার আছে। বরং নোকিয়ার বর্তমান নগদ ঘাটতি দূর করতে ইনটেল্যাকচুয়াল প্রোপার্টি বিক্রয়ের পরামর্শ দিয়েছেন অনেকেই।
সূত্র: ইন্টারনেট