- ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ - https://universal24news.com -

এখনো ভিসা পাননি ৩০ হাজার হজযাত্রী


বাংলাদেশ থেকে হজ ফ্লাইট শুরুর মাঝপথে এসে সৌদি আরবের ভিসা ইস্যুর সার্ভারে জটিলতা দেখা দিয়েছে। ফলে সৌদি সরকারের অনলাইনে ভিসা প্রদান বিলম্বিত হচ্ছে। গত এক সপ্তাহ ধরে চলছে এই জটিলতা। এ কারণে এখনো ৩০ হাজারের বেশি হজযাত্রী সৌদি ভিসা পাননি। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন হজযাত্রীরা। যথাসময়ে ভিসা না পাওয়ার ফলে প্রতিদিন বহু হজযাত্রীর ফ্লাইট মিস হচ্ছে। তাদের নতুন করে ফ্লাইটের শিডিউল পাওয়া নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।


এই সমস্যার কারণ হিসাবে হজ সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা ইত্তেফাককে জানান, সৌদি হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এই বছর থেকে প্রথম বারের মতো অনলাইনে হজ ভিসা ইস্যু শুরু করেছে। প্রথম দশ দিন অনলাইন সার্ভার যথাযথভাবে কাজ করলেও চাপ বেড়ে যাওয়ায় এক পর্যায়ে মেশিন নষ্ট হয়ে যায়। দুই দিন পর মেরামত করা হয়। তবে এখনো ধীরগতিতে ভিসা ইস্যু হচ্ছে। সৌদি কর্তৃপক্ষ ধর্ম মন্ত্রণালয়কে আশ্বাস দিয়েছে শীঘ্রই সার্ভার স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

জানা গেছে, গত রবিবার থেকে অকস্মাৎ সৌদি আরবের নিজস্ব সার্ভার বিগড়ে যায়। এতে ঢাকার চাহিদা মোতাবেক ভিসা প্রাপ্তির কাজে ব্যাঘাত ঘটে। পরদিন সোমবার সার্ভার বন্ধ হয়ে পড়ায় ভিসা সংগ্রহের কাজ একেবারের বন্ধ হয়ে যায়। এতে ওই দু’দিনের ফ্লাইট নির্ধারিত থাকার পরও ভিসা না পাওয়ায় অনেকে হজে যেতে পারেনি। ফলে দুই শতাধিক হজযাত্রীকে ফ্লাইট বাতিল করতে হয়। গত মঙ্গলবার সৌদি সার্ভার সক্রিয় হয়। তবে ভিসা প্রসেসিং এর গতি এখনো অনেক কম।

আশকোনা হজ ক্যাম্পের পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, সার্ভারে জটিলতার কারণে ভিসা সমস্যায় যারা নির্ধারিত ফ্লাইট মিস করেছেন তাদের পরবর্তী ফ্লাইট পাওয়াটা কিছুটা জটিল হয়ে পড়ে। তবে আমরা বাংলাদেশ বিমান ও সাউদিয়া এয়ারলাইন্সকে চিঠি দিয়েছি যাতে হজযাত্রীদের ফ্লাইট মিস করার জন্য তাদের কোন ধরনের জরিমানা বা পেনাল্টি না করে। তারা যাতে বিকল্প ফ্লাইটে সৌদি আরবে যেতে পারেন।

এদিকে এ ধরনের জটিলতা বা বিড়ম্বনা এড়াতে ফ্লাইটের কমপক্ষে এক সপ্তাহ আগে ভিসা প্রসেসিং কার্যক্রম সম্পন্ন করতে সকল হজ এজেন্সিকে নির্দেশনা দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। ভিসা প্রাপ্তিতে কোন সমস্যা হলে তাৎক্ষণিকভাবে সৌদি দূতাবাস (গুলশান-২) এবং পরিচালক হজ (আশকোনা হজ ক্যাম্প) ঢাকাকে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে ভিসা প্রসেসিং কার্যক্রমের শৈথিল্য প্রদর্শন করা হলে সংশ্লিষ্ট হজ এজেন্সির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ২০২০ সালের হজ মৌসুমের হজযাত্রী প্রেরণে অযোগ্য বলে ঘোষণা করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭৩ হাজারের বেশি হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। চলতি বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট বাংলাদেশি হজযাত্রীর সংখ্যা ১ লাখ ২৬ হাজার ৯২৩ জন।

১৫ শতাংশ রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা চায় হজ এজেন্সিগুলো: এদিকে হজযাত্রীদের রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা ১৫ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছে এজেন্সিগুলো। এরইমধ্যে ১০ শতাংশ রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা দিয়ে নতুন ১০ হাজার রিপ্লেসমেন্ট হজযাত্রীর অনুমোদন দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এরপরও এজেন্সিগুলো আরও ৫ শতাংশ বাড়ানোর জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ জানিয়েছে। এমনকি হাবের পক্ষ থেকে সম্প্রতি ধর্ম মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে।