এটি তো ছিল ট্রেলার, পুরো সিনেমার এখনও বাকি: মোদি


জনসভায় দাঁড়িয়ে বলি অভিনেতা শাহরুখ খানের জনপ্রিয় সিনেমার সংলাপের অনুকরণ করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।তিনি বলেন, এ তো কেবল ট্রেলার দেখলেন, সিনামার এখনও অনেক বাকি রয়েছে।দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে এভাবেই বলি ব্লকবাস্টার থেকে সংলাপ ধার নিলেন মোদি।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দেশটির ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতে নরেন্দ্র মোদি জনগণের উদ্দেশে বলেন, নির্বাচনের আগে আমি একটি শক্তিশালী ও কর্মমুখী সরকারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। যে সরকার আরও গতিশীল হবে এবং দ্রুত জনগণের প্রত্যাশার বাস্তবায়ন করবে। জনগণের স্বপ্নপূরণে লড়াই করবে। আমাদের সরকারের প্রথম ১০০ দিনে, যা দেখলেন তা তো শুধু ট্রেলার ছিল৷ পুরো ছবি আসতে এখনও বাকি আছে৷

এর পর মোদি দাবি করেন, দেশের লুটেরাদের, উন্নয়ন স্তব্ধকারীদের উচিত শাস্তি বিধানই আমাদের সংকল্প৷ এই সরকারের আগে কখনও দেশে উন্নয়ন এত দ্রুতগতিতে হয়নি৷

মোদি এই ১০০ দিন দেশ কেমন চালালেন প্রশ্নে বিশ্লেষকরা অবশ্যই এ কয়দিনে মোদি সরকারের নেয়া বড় ধরনের পদক্ষেপের কথা বলবেন। যেমন বিতর্কিত তাৎক্ষণিক তিন তালাক বিল, তথ্য জানার অধিকার আইনের বিল, ৩৭০ ধারা বিলোপ ও ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয়া ইত্যাদি।

আর পার্লামেন্টের বিপুল জনমতের সমর্থনে এসব বিল একের পর এক বিল দ্রুততার সঙ্গে পাস করিয়ে নিয়েছেন তিনি৷

তবে এতসব পদক্ষেপের মাঝেও প্রকাশ পেয়েছে ভারতের ভঙ্গুর অথর্নীতি। দেশটির পরিসংখ্যান বলছে, মন্দায় ধুঁকছে দেশ৷ প্রবৃদ্ধির হার প্রথম তিন মাসে ৫ শতাংশ, যা গত ছয় বছরে সর্বনিম্ন৷।যে কারণে বিরোধী দল সরকারের এই ১০০ দিনের সাফল্যকে বড় করে দেখছে না৷

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এভাবে চলতে থাকলে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে পাঁচ লাখ কোটি ডলারের অর্থনীতির স্বপ্ন দেখা ধুলোয় মিশে যাবে নরেন্দ্র মোদির। কারণ এত বড় আকারের বাজেট পেশ করতে হলে দেশের আর্থিক প্রবৃদ্ধির হার লাগাতার ৮ শতাংশের ওপর থাকতে হবে। কিন্তু বর্তমানে ভারতের অর্থনীতির সূচক নিম্নমুখী।

দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের দেয়া তথ্য বলছে, ২০১৮ সালের এপ্রিল-জুন, এই তিন মাসে জিডিপি ছিল ৮ শতাংশ, যা চলতি আর্থিক বছর কমে হল ৫ শতাংশ৷

এর আগের তিন মাসে অর্থাৎ ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চেও জিডিপি ছিল ৫.৮ শতাংশ৷ এর আগে ২০১৩ সালের জানুয়ারি-মার্চে জিডিপি ছিল ৪.৩ শতাংশ।


শর্টলিংকঃ