‘এনবিআর’র তামাক কোম্পানির পক্ষাবলম্বনে ‘এসিডি’র প্রতিবাদ


প্রেসবিজ্ঞপ্তি:

‘জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতি ২০১৯’ খসড়া চূড়ান্তকরণে তামাক কোম্পানির মতামত গ্রহণের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানোর জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। কিন্তু এ নীতি চূড়ান্তকরণে এনবিআর এর তামাক কোম্পানির পক্ষাবলম্বন ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল-এফসিটিসি’র স্পষ্ট লঙ্ঘন। তাই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে রাজশাহীর উন্নয়ন ও মানবাধিকার সংস্থা ‘এ্যাসোসিয়েশন ফর কম্যুনিটি ডেভেলপমেন্ট-এসিডি’।

গতকাল (১১ নভেম্বর ২০১৯) সোমবার বিকালে এসিডি’র তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প থেকে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০০৩ সালের ১৬ জুন তামাক নিয়ন্ত্রণের আন্তর্জাতিক চুক্তি ‘ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল-এফসিটিসি’র প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ স্বাক্ষর করে। এজন্য বাংলাদেশের বিশেষ সুনাম সারাবিশ্বে রয়েছে। ‘এফসিটিসি’র আর্টিক্যাল ৫.৩ এর ১৩ ধারায়, তামাক নিয়ন্ত্রণের জন্য নীতি প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নে সরকারকে তামাক কোম্পানির প্রভাবমুক্ত থাকতে সুপারিশ করা হয়েছে। এতে স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকার তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা ও পদক্ষেপসমূহ তামাক কোম্পানির ব্যবসায়িক ও অন্যান্য স্বার্থ থেকে সুরক্ষা করতে অঙ্গীকারবদ্ধ।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এর উচিত হবে তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপমুক্ত থাকা এবং জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতি চূড়ান্তকরণে তামাক কোম্পানির মতামত গ্রহণ করতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ না করা। পাশাপাশি প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সহযোগিতা করার মাধ্যমে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনের পথ সুগম করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে তামাক ব্যবহারের কারণে প্রতিবছর ১ লাখ ৬১ হাজারের অধিক মানুষ মৃত্যুবরণ করেন। তামাক ব্যবহারজনিত মৃত্যু ও অসুস্থতায় বছরে ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়, যা তামাকখাত থেকে অর্জিত রাজস্ব আয়ের চেয়ে অনেক বেশি। তামাক ব্যবহারজনিত এই ক্ষয়ক্ষতি এবং ভয়াবহতা উপলব্ধি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এবং এলক্ষ্য অর্জনে তাঁর নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ২০১৬ সালে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতি প্রণয়নের কাজ শুরু করে।


শর্টলিংকঃ