এবার আসামের মতো মুসলিম-শূন্য হচ্ছে কর্নাটক শহর


কর্নাটকের রাজধানী ব্যাঙ্গালোর হাই-টেক সিটি’ বলে পরিচিত। এবার আসামের পর এখানেও এনআরসি (জাতীয় নাগরিকপঞ্জি) তৈরির কাজ অচিরেই শুরু হবে বলে কর্নাটকের বিজেপি সরকার আগেই ঘোষণা করেছে,তার আগেই ব্যাঙ্গালোর জুড়ে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে হাজার হাজার কথিত বাংলাদেশীদের। ধীরে ধীরে বাঙালি মুসলিম-শূন্য হচ্ছে ভারতের এই কসমোপলিটন শহর।

অসহায় দরিদ্র মানুষগুলোর বেশিরভাগই বাংলাদেশের সীমান্ত ঘেঁষা পশ্চিমবঙ্গের মালদা-মুর্শিদাবাদ-নদীয়া জেলার।

কথিত ‘অবৈধ বাংলাদেশি’দের বিরুদ্ধে ব্যাঙ্গালোর পুলিশ আর কর্নাটক সরকারের কড়া অভিযান – যার জেরে এই অসহায় মানুষগুলো দলে দলে শহর ছাড়ছেন। অনেককেই জেলে ভরা হয়েছে,অনেকে তার আগেই ভয়ে ঘরবাড়ি ফেলে পালাচ্ছেন।

অর্পিতা বসু নামের একজন কলকাতাবাসী বলছিলেন, ‘আমাদের বলা হয়েছে বাংলাদেশি কি ভারতীয় সে সব দেখার কোনও দরকার নেই–বাঙালি মুসলিম হলেই ছাঁটাই করতে হবে।

এই শহরের জঞ্জাল ঘেঁটে কায়ক্লেশে জীবন যাপন করা হাজার হাজার দরিদ্র বাঙালি মুসলিম। গরিব বাঙালি নারীরা শহরের বিভিন্ন হাইরাইজ সোসাইটি বা বহুতল আবাসনে রান্নাবান্না বা পরিচারিকার কাজ করতেন, তারা চাকরি খোয়াচ্ছেন। কর্মস্থল থেকে বিতাড়িত করা হচ্ছে পুরুষদেরও। বেতন ছাড়াই বাঙ্গালী মুসলিমদের কাজ করিয়ে নিচ্ছেন অনায়াসে। প্রতিবাদের ভাষা কারোর নেই কারণ তারা বাঙ্গালী।

শহরের একটি এনজিও ‘মুভমেন্ট ফর জাস্টিস’ বাঙালি মুসলিমদের স্বার্থে অনেকদিন ধরেই লড়ছে,তাদের আইনি সহায়তাও দিয়ে আসছে। ওই সংস্থার কর্ণধার আর কলিমুল্লা বলছিলেন, ‘‘পরিস্থিতি আসলেই খুব সঙ্গীন। আমরা দিব্বি বুঝতে পারছি ‘বাংলাদেশি’ বলাটা একটা অজুহাত–বিজেপি সরকার আসলে টার্গেট করতে চাইছে মুসলিমদের।’’

গোপনে পালিয়ে যাওয়া মানুষদের বাংলাদেশের সীমান্তে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে বলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে উঠে এসেছে।


শর্টলিংকঃ