‘এমন করছেন যেন জামা মসজিদ পাকিস্তানে’ দিল্লি পুলিশকে আদালতের ভর্ৎসনা


ইউএনভি ডেস্ক:

বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে চলা আন্দোলনে দিল্লি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ভর্ৎসনা করেছে আদালত। মঙ্গলবার দলিতদের সংগঠন ভীম সেনাবাহিনীর প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদের জামিন আবেদন শুনানির সময় আদালত দিল্লি পুলিশকে তিরস্কার করে। এ সময় বিক্ষোভ দেখানো দেশের নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকার বলেও আদালত মত দিয়েছে। খবর এনডিটিভি ও আনন্দবাজার পত্রিকার।

দিল্লির জামা মসজিদ। ছবি: আনন্দবাজার
দিল্লির জামা মসজিদ। ছবি: আনন্দবাজার

চন্দ্রশেখর আজাদ বিনা অনুমতিতে জামা মসজিদে বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ দিল্লি পুলিশের। কিন্তু এ দিন আদালত বলে, জামা মসজিদ কি পাকিস্তানে? আর হলেই বা কি, সেখানেও বিক্ষোভ দেখানো যায়।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে জামা মসজিদে প্রতিবাদ মিছিল এবং সহিংসতায় মদদ দেয়ার অভিযোগে প্রায় এক মাস ধরে চন্দ্রশেখর আজাদকে আটক রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার দিল্লির তিস হাজারি আদালতে তার জামিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

আজাদের বিরুদ্ধে বিনা অনুমতিতে বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগ তোলেন সরকারি আইনজীবী। জামা মসজিদে ধর্না নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আজাদের একাধিক পোস্ট তুলে ধরেন তিনি। আজাদই সহিংসতায় মদদ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগও তোলেন।

কিন্তু তার অভিযোগ আমলে নেননি বিচারক কামিনী লউ। তিনি বলেন, ধর্নায় বসার মধ্যে ভুল কী আছে? প্রতিবাদই বা ভুল হতে যাবে কেন? প্রতিবাদ করা, ধর্নায় বসা এ সব নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকারের মধ্যেই পড়ে।

আজাদের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে হিংসায় উস্কানি দেয়ার মতো কিছু বা অসাংবিধানিক কোনও বার্তা ছিল না বলেও সাফ জানিয়ে দেন বিচারক। তিনি বলেন, ‘কোথায় হিংসা? পোস্টগুলিতে ভুল কী আছে? কে বলেছে প্রতিবাদ করা যাবে না? সংবিধানটা পড়ে দেখেছেন?’

বিচারক দিল্লি পুলিশকে বলেন, ‘আপনাদের কি মনে হয় দিল্লি পুলিশ এতটাই পিছিয়ে পড়েছে যে, তাদের কাছে কোনো রেকর্ড নেই? ছোট মামলায় দিল্লি পুলিশ প্রমাণ পেশ করেছে। কিন্তু এই ঘটনায় কেন নেই?’

গত ২১ ডিসেম্বর চন্দ্রশেখর আজাদকে দিল্লি পুলিশ আটক করে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে জামা মসজিদ থেকে যন্তর মন্তর পর্যন্ত একটি মিছিলের পরিকল্পনা করেছিলেন আজাদ।


শর্টলিংকঃ