এরশাদের আসনে মনোনয়ন তারেক রহমানের হাতে, বাণিজ্যের শঙ্কা!


সদ্য প্রয়াত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া রংপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছে বিএনপি। সোমবার (২৯ জুলাই) বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।

এই নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী মনোনয়নে বিএনপির স্থায়ী কমিটি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দায়িত্ব দিয়েছে বলেও জানা গেছে। স্থায়ী কমিটি কর্তৃক নেতারা প্রার্থী মনোনয়নে তারেক রহমানকে দায়িত্ব দেয়ার কথা বললেও গুঞ্জন উঠেছে, তারেক রহমান নিজেই স্থায়ী কমিটিকে এই আর্জি জানিয়েছেন যে, প্রার্থী নির্বাচন তিনি নিজেই করবেন।

এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেন, আসলে বিগত নির্বাচনগুলোতে মনোনয়ন বাণিজ্যের তথ্য নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় তারেক রহমান কৌশলে রংপুর- ৩ আসনের মনোনয়ন দায়িত্ব স্থায়ী কমিটির কাছ থেকে নিজের হাতে নিয়েছেন। তিনি বৈঠকের আগেই মনোনয়নের সিদ্ধান্ত নিজের হাতে নেন। স্থায়ী কমিটির বৈঠকে কেবল লোক দেখানো ঘোষণা এসেছে।

এমন প্রেক্ষাপটে রংপুর- ৩ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতারাও মনোনয়ন বাণিজ্য নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন। তারা বলছেন, মনোনয়ন নিয়ে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত যে অভিযোগগুলো উঠেছে সেখান থেকে রংপুর-৩ আসনের প্রার্থী মনোনয়নে যে বাণিজ্য হবে আমরা তা মোটামুটি নিশ্চিত। ফলে প্রার্থী হতে ঠিক কতো অর্থ গুনতে হবে তা বলা যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে রংপুর- ৩ আসনে ধানের শীষে মনোনয়ন প্রত্যাশী একজন নেতা বলেন, লন্ডন থেকে তিনি প্রার্থী মনোনয়নে সিদ্ধান্ত দেবেন। তিনি দেশের রাজনীতির প্রেক্ষাপট সম্বন্ধে অবগত না হয়ে এই সিদ্ধান্ত কিভাবে দেন? এই প্রশ্ন থেকেই খুব সহজে বোঝা যায়- তিনি আসলে কী উদ্দেশ্যে এ দায়িত্ব নিজের হাতে নিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, দশম সংসদ নির্বাচন বর্জনের পর গত বছর অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলেও ভোট ডাকাতির অভিযোগ তুলে ফল প্রত্যাখ্যান করে। ওই নির্বাচনে বিএনপি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গড়ে অংশ নিয়ে সাতটি আসনে জয় পায়। এরপর ফখরুলের শূন্য আসনে উপনির্বাচনে জয় পায় বিএনপি প্রার্থী। এখন এরশাদের শূন্য আসনে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিলো বিএনপি।


শর্টলিংকঃ