এরশাদের পতন, এরশাদের পরিত্রাণ


পতিত স্বৈরাচার হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ মৃত্যুসজ্জায়। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে। লাইফ সাপোর্টে আছেন বলে জানা গেছে। এও জানা গেছে যে রাষ্ট্রীয় খরচেই সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। প্রধানমন্ত্রীর সাথে রোববার যখন এরশাদ-পত্নী ও সংসদে বিরোধী দলীয় উপনেতা বেগম রওশন এরশাদ উদ্বিগ্ন হয়ে দেখা করেছেন, তখন প্রধানমন্ত্রী এরশাদের রাষ্ট্রীয় দেখভালের আশ্বাস দিয়েছেন বলেই সংবাদ প্রচার হয়েছে। আর সোমবার (আজ) হাসপাতালে তাকে দেখে এসেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এটাও মোটামুটি বলে দেওয়া যায়, এরশাদের মৃত্যুর পরে রাষ্ট্রীয় সম্মান দিয়েই তার শেষকৃত্য হবে।

এরশাদ বোধহয় পৃথিবীতে একমাত্র পতিত স্বৈরাচার যিনি পতনের পরেও রাষ্ট্র, সমাজ ও রাজনীতিতে সমাদৃত ও সম্মানিত। অথচ তাকেও বিদায় নিতে হয়েছিলো গণআন্দোলনের মুখে। রাজপথের তীব্র আন্দোলনে বহু রক্ত ঝরিয়ে, বহু প্রাণ হরণ করে শেষ পর্যন্ত ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর এরশাদ পদত্যাগে বাধ্য হন। তারপর তার কারাবাস। কিন্তু কারাগারে থেকেও পরবর্তী ১৯৯১ সালের নির্বাচনে ৫টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এরশাদ জয় পান। তারপরের বারও তাই।

এরশাদবিরোধী গণআন্দোলনে তিনটি রাজনৈতিক জোট প্রধান ভূমিকা পালন করে। আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আট দল, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন সাত দল এবং বামপন্থী নেতা রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বাধীন পাঁচ দল। তারা গণআন্দোলনে টেনে-হিঁচড়েই এরশাদকে আসন থেকে নামিয়েছিলেন। কিন্তু এরশাদ পতনের পর থেকে এই তিন দশকে এঁরা প্রত্যেকেই কোনো না কোনোভাবে ক্ষমতার রাজনীতির হিসাবনিকাশে এরশাদের স্মরণাপন্ন হয়েছেন, এরশাদকে পুরস্কৃতও করেছেন। বিশ্বে এমন রাজনৈতিক উদাহরণ বিরল।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক যে রাজনীতি নিয়ে বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়েছিলো, পঁচাত্তর-পরবর্তী সময়ে তার সবচেয়ে বড় ক্ষতি করেছেন দুই অবৈধ সামরিক শাসক। জিয়াউর রহমান আর হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত বাহাত্তরের সংবিধান তথা রাষ্ট্র পরিচালনার চার মূলনীতি ছিলো: জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র। ধর্মভিত্তিক রাজনীতির অধিকার ছিলো রহিত। কিন্তু জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করে সংবিধানের এই মূলনীতিকে হত্যা করেন। ধর্মনিরপেক্ষতাকে কবর দিয়ে সেখানে ‘পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালার উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ প্রতিস্থাপন করেন।

সমাজতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়ে ‘সামাজিক ন্যায়বিচার’ বসান। আর ধর্মভিত্তিক রাজনীতির অধিকারকে উন্মুক্ত করে দেন। ফলে স্বাধীনতাবিরোধী জামাত-শিবির চক্র এদেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হয়। আর জিয়ার মৃত্যুর পর এরশাদ ক্ষমতায় এসে সংবিধানের অষ্টম সংশোধনীর মাধ্যমে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্র তার মূল চরিত্র থেকে দূরে সরে যায়। ধর্মভিত্তিক জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠার এই অপকর্মটির দ্বারা জিয়াউর রহমান ও হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ কার্যত মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকেই হত্যা করেন।

স্বৈরাচার আর সামরিকতন্ত্রী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক অধিকার আর মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার জন্যই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন। কিন্তু জিয়া-এরশাদের মতো সামরিক শাসককেরা সেই গণতন্ত্রকেই হত্যা করে আবার পাকিস্তানী ভাবধারার সামরিকতন্ত্রকে বাংলাদেশের উপর চাপিয়ে দেন। এ শাসন নিঃসন্দেহে অবৈধ ও অসাংবিধানিক। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়েও তা প্রমাণিত। সুপ্রিম কোর্ট ইতোমধ্যেই জিয়া-সাত্তার-সায়েমের শাসনকালকে অবৈধ বলে রায় দিয়েছেন। অপর এক রায়ে এরশাদের ১৯৮২ থেকে ১৯৮৬ সালের নির্বাচনের পূর্বকালীন শাসনকালকে অবৈধ বলে রায় দিয়েছেন।

এই অবৈধ ও অসাংবিধানিক ক্ষমতারোহনকে যেনতেন প্রকারে টিকিয়ে রাখতে এরশাদ মরিয়া হয়ে ওঠেন। সামরিক ও বেসামরিক বাহিনীগুলোকে দেশের জনগণের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেন। মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থেকে শুরু করে রাজনৈতিক সকল স্বাধীনতা হরণ করেন। গণতন্ত্রকে টুঁটি চেপে হত্যা করেন। তার এই অবৈধ শাসনকে টিকিয়ে রাখতে গিয়ে গণঅভ্যুত্থানকে নির্মমভাবে দমনের পথ বেছে নেন। জয়নাল, কাঞ্চন, দীপালী সাহা, সেলিম, দেলোয়ার, নূর হোসেন, ডা. মিলন, রাউফুন বসুনিয়া, জামিল আক্তার রতন-সহ বহু রাজনৈতিক নেতাকর্মিকে হত্যা করেন।এইসব রক্তের উপর ভর করে নয় বছর ক্ষমতা ধরে রেখেছিলেন জোর করে। শেষে গণঅভ্যুত্থান তুঙ্গে উঠলে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পদত্যাগে বাধ্য হন।

গণধিকৃত এই পতিত স্বৈরাচার অবশ্য বাংলাদেশের অপরাপর গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে খুব বেশিদিন ধিকৃত থাকেননি। বরং আওয়ামী লীগ, বিএনপি-সহ অন্যান্যদের কাছে বেশ সমাদৃতই বটে। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে এরশাদ নিজে কারাগারে থেকে ৫টি আসনে নির্বাচন করে সবগুলোতেই জিতেছেন। এরপরের নির্বাচনগুলোতেও তিনি সেভাবে হারেননি এবং তার পতন-পরবর্তী সবগুলো সংসদেই তিনি সদস্য নির্বাচিত হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

১৯৯৬ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হলেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিতের প্রয়োজনে আওয়ামী লীগ তখন জাতীয় পার্টি ও জাসদ (রব) এর স্মরণাপন্ন হয়। এরশাদ তখনও কারাগারে। তাদের সমর্থন নিয়ে শেখ হাসিনা তখন ‘জাতীয় ঐক্যমতের সরকার’ গঠন করেন। এরশাদের জাতীয় পার্টির মহাসচিব আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এবং জাসদের আ স ম আব্দুর রবকে মন্ত্রী করা হয়। সেই থেকে এরশাদ তোষণ শুরু। এই তোষণের সূত্র ধরেই এরশাদের কারামুক্তি ঘটে।

ভোটের রাজনীতির লাভ-ক্ষতির হিসাবনিকাশে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি যখন এরশাদ তোষণ করতে থাকে, বিপরীতক্রমে মামলামুক্তি আর নগদ প্রাপ্তির বিনিময়ে এরশাদও তা উপভোগ করতে থাকেন। ২০০১ সালের নির্বাচনের আগে এরশাদ আওয়ামী-সঙ্গ ত্যাগ করে বিএনপিতে যাবো যাবো করেন। শেষতক উভয়কূল রক্ষা করে চলেন ভবিষ্যৎ ক্ষমতাসীনদের চক্ষুশূল হওয়ার ভয়ে। কিন্তু এরশাদের দল তাতে টেকে না। বারবার ভাঙ্গন হয়। নাজিউর রহমান মঞ্জুর নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির একাংশ বিএনপি-জামাত জোটের অংশীদার হয়।

২০০৬ সালের ২২ জানুয়ারি যে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিলো (শেষ পর্যন্ত ওই নির্বাচন হয়নি, জরুরি অবস্থা জারি হয়) তার আগে এরশাদকে নিয়ে দুই প্রধান দল আওয়ামী লীগ ও তার জোট ১৪ দল এবং বিএনপি ও তার জোট চার দলের (বর্তমান ২০ দল) টানাটানির প্রতিযোগিতায় সম্ভবত কবর থেকেও কষ্ট পান স্বৈরাচারবিরোধী সংগ্রামে আত্মদান করা শহিদেরাও। অবশেষে বিএনপিকে পরাস্ত করে জয়ী হয় আওয়ামী লীগ। পল্টনের জনসভায় অনেক নাটকীয়তার পর ১৪ দলের সমাবেশে উপস্থিত হন এরশাদ। ঘোষণা দেন মহাজোট গঠন করে নির্বাচনের। ওই জোটে বামপন্থীরাও ছিলেন। ছিলেন এরশাদবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম প্রধান জোট পাঁচ দলের নেতা রাশেদ খান মেনন ও হাসানুল হক ইনুও।

ওই সময় নির্বাচন স্থগিত হলেও দুই বছর পরে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আনুষ্ঠানিকভাবে এরশাদের সাথে মহাজোট গঠন করে ভোটে লড়ে ১৪ দল। এই প্রথমবারের মতো জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়া আসনগুলোতে আওয়ামী লীগ এমনকি বামপন্থী কর্মিরাও লাঙ্গল প্রতীকে ভোট দিতে বাধ্য হয়। আমি তখন ছাত্র মৈত্রীর কেন্দ্রীয় নেতা। আমরাও বাধ্য হলাম কোথাও কোথাও লাঙ্গলে ভোট দিতে। অথচ আমাদের সংগঠনের নেতা জামিল আক্তার রতন এরশাদের রাষ্ট্রধর্ম বিল-বিরোধী সংগ্রামে স্বৈরাচারের দোসর স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক জামাত-শিবিরের হাতে সে সময়ে শহিদ হয়েছিলেন। বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাজনীতির ইতিহাসে এর চেয়ে বড় ট্রাজেডি সম্ভবত আর কিছু হবে না কোনোদিন।

দক্ষিণপন্থী রাজনীতির প্লাটফরম বিএনপি ও স্বাধীনতাবিরোধী জামাতের জোটকে ঠেকাতে তাদের হাত থেকে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে পুনরুদ্ধার করতে ভোটের রাজনীতির অঙ্কে এরশাদকে ছাড়া উপায় নেই- এমন যুক্তি ছিলো সে সময় আমাদের সামনে। অথচ এই স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক শক্তির রাজনীতির অন্যতম পৃষ্ঠপোষকই এই পতিত স্বৈরাচার হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। এটাই ভোটের রাজনীতির কাছে নৈতিক রাজনীতির পরাজয়ের ট্রাজেডি।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে সামরিকতন্ত্র বরাবরই সাম্প্রদায়িকতাকে পৃষ্ঠপোষকতা করে এসেছে। জিয়াউর রহমান এবং এরশাদই কেবল নন, ১/১১ এর সেনা-সমর্থিত ফখরুদ্দিন সরকারও তার জ্বলন্ত প্রমাণ। ধর্মনিরপেক্ষতা আর গণতান্ত্রিক চেতনাকে ধারণ করে যে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জন্মলাভ, ওই চেতনাকেই যে বাংলাদেশ তার রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করেছিলো, সেই চেতনাকে হত্যা করে সংবিধান ও রাষ্ট্রের সাম্প্রদায়িকীকরণ করেছিলেন তো জিয়া-এরশাদ গং।

তারাই এখানে জামাতের বৈধতা দিয়েছেন, তারাই ধর্মনিরপেক্ষতাকে হত্যা করে রাষ্ট্রধর্মের সর্বনাশা বীজ বপন করেছেন। আর সেই স্বৈরশাসকের পতনের এতো বছর পর সাম্প্রদায়িকতা আর স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে ঠেকাতে তাদেরই পৃষ্ঠপোষক এরশাদের সাহায্য দরকার হয়ে পড়লো! মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনৈতিক শক্তির পায়ের নিচের মাটি এই বাংলাদেশে এতোটাই দুর্বল।

২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবের দিনে ১৪ দল তথা মহাজোটের জোটসঙ্গী সেই এরশাদই কিন্তু ওই ভয়ঙ্কর অন্ধকারের শক্তিকে রুটি-কলা খাইয়েছেন। অবশ্য সেদিন হেফাজতে ইসলামকে দমন করলেও আজকের আওয়ামী লীগ হেফাজতে ইসলামেরই আশীর্বাদপুষ্ট। তাদের কথামতোই আজ আমাদের পাঠ্যসূচি নির্ধারিত হয়, তাদের কথামতোই ভাস্কর্য অপসারণ হয়, তাদের দেওয়া সংবর্ধনা নেন আমাদের প্রিয় প্রধানমন্ত্রী তথা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির ভরসাস্থল শেখ হাসিনা। রাজনীতির এটাই ট্রাজেডি।

এই নিবন্ধ যখন প্রকাশিত হবে, তখন অথবা তার নিকটবর্তী সময়ে নবতিপর এরশাদের জীবনাবসান হবে। মৃত এরশাদও নিশ্চয়ই ক্ষমতাসীনদের কাছে বিরাগভাজন হবেন না। নিশ্চয়ই প্রিয় প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকেও তার মরদেহে শ্রদ্ধা জানানো হবে। হয়তো শোক প্রকাশ করতে যাবেন এরশাদবিরোধী আন্দোলনের পাঁচ দলের নেতা রাশেদ খান মেনন ও হাসানুল হক ইনু। নিশ্চয়ই রাষ্ট্রীয় সম্মান নিয়েই শেষকৃত্য হবে এরশাদের মরদেহের।

কিন্তু স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনে যারা জীবন দিয়ে গেছেন, সেই শহিদজয়নাল, কাঞ্চন, দীপালী সাহা, সেলিম, দেলোয়ার, নূর হোসেন, ডা.মিলন, রাউফুন বসুনিয়া, জামিল আক্তার রতনদের আত্মা কি আমাদেরকে অভিশাপ দেবে না? এই অভিশাপের দায় কী দিয়ে মেটাবেন ‘অসাম্প্রদায়িক-গণতান্ত্রিক’ রাজনৈতিক বলয়ের নেতৃবৃন্দ? এই দায় মেটানোর আর কোনো সুযোগ নেই।

যে রাজনৈতিক পাপ আমরা করেছি, বাকি সমস্ত জীবন সেইসব শহিদদের অভিশাপ বহন করেই আমাদের কাটাতে হবে। এরশাদের দলের অনেক নেতাই শেখ হাসিনা-রাশেদ খান মেনন-হাসানুল হক ইনু-তোফায়েল আহমেদ-মতিয়া চৌধুরীদের সাথে একই মন্ত্রিসভায় বসেছেন, এরশাদ হয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত। পতিত এরশাদের পরিত্রাণ হয়েছে। কিন্তু এই রাজনৈতিক অপরাধের দায় নিয়েই আমাদেরকে ইতিহাসের কাছে মাথা নিচু করেই থাকতে হবে।

লেখক: সাধারণ সম্পাদক, ইয়ুথ ফর ডেমোক্রেসি এন্ড ডেভেলপমেন্ট; সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী।


শর্টলিংকঃ