ওএমএস তালিকায় মৃত ব্যাক্তি : মুন্ডমালায় দুই কাউন্সিলরকে শোকজ


তানোর প্রতিনিধি :

রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুন্ডমালা পৌরসভার নিজ ওয়ার্ডে এক ব্যক্তির নামে দুইবার ওএমএস কার্ড এবং মৃত ব্যক্তির নামে একই কার্ড দেয়ার অভিযোগে দুই কাউন্সিলরকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেয়া হয়েছে। গত শনিবার দুপুরে পৌরসভার প্যাডে (স্মারক নং ২০২০/১০৯ এবং ২০২০/১১০) শোকজ নোটিশে স্বাক্ষর করেন মেয়র গোলাম রাব্বানী। আজ রোববার দুপুরে এ শোকজ নোটিশ ওই দুই কাউন্সিলরের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।

নোটিশপ্রাপ্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের জবাব দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে। শোকজ নোটিশ প্রাপ্ত দুই কাউন্সিলর হলেন- মুন্ডমালা পৌর সভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র আমির হোসেন আমিন এবং আট নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোস্তাফিজুর রহমান।

পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিরকে দেয়া শোকজ নোটিশে উল্লেখ করা হয়, গত ১৬ এপ্রিল মুন্ডমালা পৌরসভা এক হাজার দুইশ জনের মধ্যে ওএমএস কার্ড বিতরণের লক্ষ্যে সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরের সুপারিশ অনুযায়ী পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে ৩২৯ নম্বর হতে ৫৫০ নম্বর সিরিয়ালে মোট ২২২ টি কার্ড বরাদ্দ দেয়া হয়।

এসব বরাদ্দকৃত কার্ডের মধ্যে ওই ওয়ার্ডে মৃত ব্যক্তি আমজাদ হোসেন নামে ৪৯৮ নম্বর ক্রমিকের কার্ড অর্ন্তভুক্ত করেছেন কাউন্সিলর আমিন হোসেন আমিন। তাছাড়াও তিনি একই ওয়ার্ডে নয়জন ব্যক্তিকে দুইবার করে একই কার্ড প্রদান করেছেন। এটি সরকারি আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। একই অপরাধ করেছেন আট নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোস্তাফিজুর রহমান। একই সভায় সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের জন্যও ওএমএস কার্ড বরাদ্দ দেয়া হয়।

ওই ওয়ার্ডের বরাদ্দকৃত কার্ড থেকে একই ব্যক্তির নামে দুইটি কার্ড দেয়া হয়েছে। এখানেও সরকারি আইন লঙ্ঘন হয়েছে। একারণে কাউন্সিলর মোস্তাফিজুর রহমানকেও ২৪ ঘন্টর মধ্যে পনাটিশের জবাব পদয়ার জন্য বলা হয়েছে। অন্যথায় তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।

পৌর মেয়র গোলাম রাব্বানী বলেন, কয়েকজন কাউন্সিলর আমার নামে অপপ্রচার করছেন। নিজেরাই সুপারিশ করে কার্ড বরাদ্দ নিয়ে এক ব্যক্তির একাধিক বা মৃত ব্যাক্তির নামে ওএমএস কার্ড দিয়েছেন। এরপর তারাই আমার নামে মিথ্যা তথ্য দিয়ে অপপ্রচার চালাছেন।

মেয়র আরও বলেন, দুইজন কাউন্সিলরকে ইতোমধ্যে শোকজ নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। শোকজ নোটিশের অনুলিপি বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মবকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া বরাদ্দকৃত কার্ডের তালিকাসহ পর্যাপ্ত তথ্য প্রমাণও সরবরাহ করা হয়েছে। নোটিশের জবাব পাওয়ার পর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী ওই দুই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অভিযোগের বিষয়ে শোকজপ্রাপ্ত পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমির হোসেন আমিন তার ওয়ার্ডে এক ব্যক্তির নামে একাধিক ওএমএস কার্ড দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, শোকজ নোটিশেই সবকিছুর জবাব দেয়া হবে। এছাড়া একই ধরনের মন্তব্য করেছেন আট নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোস্তাফিজুর রহমান।

আরও পড়তে পারেন রাজশাহীতে রিমান্ডে পুলিশের নির্যাতনে আসামির মৃত্যু


শর্টলিংকঃ