কন্যাদের নিরাপদে বেড়ে উঠতে সকলের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন জরুরি


কয়েকদিন ধরে লিখব ভাবছিলাম, আজ সম্ভবত উত্তম সময়টা পেয়েছি। কয়েক মাস ধরে পত্রিকা সংবাদ দেখছেন? গত এক মাসে ধর্ষণ এর সংখ্যা ৪৫ টি। এগুলো শুধু সংবাদে আসছে,এর বাইরেও ত আছে।সবচেয়ে ভয়াবহ  ভাবে শিউরে উঠি তখন যখন শুনি পাঁচ বছর, তিন বছরের শিশু বাদ যাচ্ছে না কেউ।

কতটুকু মানসিক বিকারগ্রস্ত হলে এটা সম্ভব? একটা শিশুর যৌনাঙ্গ ব্লেড দিয়ে কাটছে সমাজের কতিপয় পশু। পশু বললে পশুদের ও অপমান হবে হয়তো। কতিপয় ব্যাক্তিবর্গ বলেন পোশাকের সমস্যা, তারা একটু ভেবে দেখুন এই তিন চার বছরের শিশুদেরও কি পোশাকের সমস্যা ছিল ?

আজ সবাই মহাউল্লাসে মা দিবসে মা’র সাথে তোলা ছবি দিয়ে সমাজিক  যোগাযোগ  মাধ্যমে প্রোফাইল পিক চেঞ্জ করছি, কিন্তু এদিকে সুস্থ মা সন্তানের সম্ভাবনা কমে যাচ্ছে এসব নামধারী পশুর জন্য যারা নিজেদের সামান্য পশুপ্রবৃত্তি পুরনের জন্য কোমলমতি শিশুদের উপর ঝাপিয়ে পড়ছে।

কথাগুলো হয়ত খারাপ শোনায়,কিন্তু সত্যি কি আমাদের মা বোনেরা নিরাপদ? মা দিবসে এই প্রশ্নটুকু রইলো সকল বিজ্ঞদের সামনে। মা দিবসের সবচেয়ে বড় প্রতিফলন ঘটানো সম্ভব আমরা যদি এসব ভবিষ্যৎ মায়েদের একটা সুস্থ সমাজ উপহার দিতে পারি।

তারা মেয়ে হয়ে জন্ম নিয়ে কি ভুল করেছে? আমাদের সমাজটা দিনে দিনে নারীদের জন্য অনিরাপদ হয়ে পড়ছে। আমি নিশচয় ভুল বলছি না। নাহলে কেন সন্ধ্যার পর বোনকে একা বাইরে পাঠাতে নিরাপদ বোধ করি না ?

এ অবস্থার উত্তরণে সকলের সচেতনতা জরুরি। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার একান্ত সদিচ্ছা পারে এসব সমাজের জঞ্জালদের আইনের আওতায় আনতে। সামনের দিনগুলোতে আমাদের রাষ্ট্রযন্ত্র এ ব্যাপারে আরও যত্নবান হবেন এ প্রত্যাশা সবার। নিরাপদে বেড়ে উঠুক সকল কন্যা, ভালো থাকুন জগতের সকল মা এটুকুই প্রার্থনা।

লেখক- সবুজ কুমার মহন্ত

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, তৃতীয় বর্ষ।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়


শর্টলিংকঃ