করোনাঝূুঁকি এড়াতে ট্রাকসেল পয়েন্টে পুলিশ চায় টিসিবি


নিজস্ব প্রতিবেদক :

রাজশাহীতে টিসিবি’র পণ্য কিনতে প্রতিদিন ভীড় জমানো মানুষ রয়েছেন করোনা সংক্রমণ ঝুঁকিতে। বাজারে নিত্যপণ্যের দাম চড়া হওয়ায় নিম্নআয়ের মানুষ জড়ো হচ্ছেন কম দামে পণ্য কিনতে। সেখানে তারা দীর্ঘলাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন ঠাসাঠাসি করে। ফলে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ অবস্থায় ক্রেতাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে ট্রাকসেল পয়েন্টগুলোতে পুলিশ চেয়েছে টিসিবি

টিসিবি’র পণ্য কিনতে রোববার জিরোপয়েন্টে নিম্নআয়ের মানুষের ভীড়

করোনা সতর্কতায় সারাদেশে জনসমাগম নিষিদ্ধ। অথচ রাজশাহীতে এখনো ঘটা করে চলছে টিসিবি’র পণ্য বিক্রি।করোনায় ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে হঠাৎ করেই বাজারে নিত্যপণ্যের দাম চড়া। তাই কম দামে পেঁয়াজ, তেল, ডাল ও চিনি কিনতে টিসিবির ট্রাকসেল পয়েন্টগুলোতে ভীড় জমাচ্ছেন নিম্নআয়ের মানুষ ।

রোববার নগরীর সাহেব বাজার জিরোপয়েন্টে ট্রাকসেলে টিসিবির পণ্য কিনতে আসা অলোক কুমার বলেন, ‘করোনার কারণে ব্যবসায়রা সব জিনিসের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। দুইদিন যে চাল কিনেছি ৪০ টাকা কেজি দরে তা আজকে দেড়গুণ হয়ে গেছে। বাধ্য আমরা গরীব মানুষ এসেছি টিসিবির মাল কিনতে’।

দীর্ঘলাইনে ঠাসাঠাসির কারণে করোনাঝুঁকিতে পড়তে পারেন-এমন আতঙ্ক রয়েছে ক্রেতারাদের মাঝেও। তারপরও বাধ্য হয়েই ঘর থেকে বেরিয়ে ছুটে আসছেন তারা। তবে অনেকেই মাস্ক পরে থাকলেও বেশির ভাগই ছিলেন খোলা। পুরুষদের পাশাপাশি ট্রাকের পেছনে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকছেন নারীরা।

এভাবেই ঠাসাঠাসি করে লাইনে দাঁড়াচ্ছেন ক্রেতারা

টিসিবির পণ্য কিনতে আসা শামসুল আলম জানান, সরকার সব ধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু আমাদের তো উপায় নেই। লাইনে গা ঘেঁষেই সবাই দাঁড়িয়ে আছেন। কিছু করার নেই। আরেক ক্রেতা শাহিনা বেগম বলেন, করোনাকে ভয় করলে তো আমা খেতে পাবো না। তাই সব বাদ দিয়ে বাজারে এসেছি। করোনা হলেই আর কী করবো!

টিসিবি’র রাজশাহী আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী কার্যনির্বাহী জামাল উদ্দিন জানান, মুজিববর্ষ উপলক্ষে দরিদ্র মানুষের জন্য এখনো পণ্য বিক্রি অব্যাহত রেখেছে। যদিও এখনো বেশি ভাগ ডিলারই পণ্য তোলেন নি। তারপরও সবস্থানেই ক্রেতাদের ব্যাপক চাহিদা। একারণে ভীড় জমছে। নগরীর ১০টি পয়েন্টে কমবেশি ভীড় হচ্ছে। তাই করোনাঝুঁকি এড়াতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। এজন্য ট্রাকসেল পয়েন্টগুলোতে যাতে ক্রেতারা নির্দিষ্ট (এক মিটার) দুরত্ব বজায় রেখে লাইনে দাঁড়ান  এ জন্য পুলিশ মোতায়েনে শনিবার আরএমপিকে চিঠি  দেয়া হয়েছে। তবে রোববার পর্যন্ত পুলিশ মোতায়েন হয় নি।

দীর্ঘসারিতে দাঁড়িয়ে পণ্য কিনতে ক্রেতাদের অপেক্ষা

এ বিষয়ে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ-আরএমপির মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস ইউনিভার্সাল২৪নিউজকে জানান, করোনা পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশ খুব ব্যস্ত সময় পার করছে। মাঠ পর্যায়ে প্রবাসীদের খুঁজে খুঁজে বের করে তালিকা করতে হচ্ছে। এরপরও টিসিবি যেহেতু পুলিশ চেয়েছে তাই  প্রতিটি থানার অধীনে থাকা টহল দল ট্রাকসেল পয়েন্টগুলোতেও দায়িত্ব পালন করবে।

উল্লেখ্য, প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ৮০টাকা, চিনি ৫০টাকা, ডাল ৫০টাকা ও পেঁয়াজ ৩৫টাকায় বিক্রি করছে টিসিবি।


শর্টলিংকঃ