রাজশাহীতে সর্বোচ্চ করোনা সংক্রমিত উপজেলা পবা


এম এ আমিন রিংকু:

রাজশাহীতে হুট করেই বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত রাজশাহী জেলা ও মহানগরে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৯১০ জন। এরমধ্যে জেলার উপজেলা পর্যায়ে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ সংক্রমিত হয়েছে পবা উপজেলায়। গত ২ জুন একদিনেই এ উপজেলায় ৩০ জনের সংক্রমিত হওয়ার ফলাফল মিলেছে। 

পবা উপজেলা

পবা উপজেলার ৮ টি ইউনিয়ন ও দুইটি পৌরসভার মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ সংক্রমিত  হয়েছেন নওহাটা পৌরসভায়। এ পৌরসভায় ২৩ জনের কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে । এছাড়া উপজেলার দর্শনপাড়া ইউনিয়নে ৩ জন, হুজুরিপাড়া ইউনিয়নে ১০ জন,  হরিপুর ইউনিয়নে ০৭  জন, হড়গ্রাম ইউনিয়নে ১২ জন, কাটাখালি পৌরসভা ও হরিয়ান ইউনিয়ন ০৬ জন, বড়গাছি ইউনিয়ন ০৫ জন এবং পারিলা ইউনিয়নে ০১ জনের কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে।

এরইমধ্যে নওহাটা পৌরসভায় কোভিড-১৯ সংক্রমিত হয়ে এক চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। তবে উপজেলার দামকুড়া ইউনিয়ন ও ভারতীয় সীমান্তবর্তী চরাঞ্চলে এ পর্যন্ত কোন ব্যাক্তি সংক্রমিত হয়নি ।

পবা উপজেলা

সিভিল সার্জন অফিস সুত্রে জানা গেছে, রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলায় ২০, চারঘাটে ২৮, পুঠিয়ায় ১৪, দুর্গাপুরে ১২, বাগমারায় ৩১, মোহনপুরে ৪১, তানোরে ৩৭, পবায় ৬৭ এবং গোদাগাড়ীতে ১০ জন কোভিড-১৯ সংক্রমিত হয়েছেন। রাজশাহীতে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৯ জন। এর মধ্যে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এলাকাতেই প্রাণ গেছে ৫ জনের। এর বাইরে বাঘা, চারঘাট, পবা ও মোহনপুরে একজন করে মারা গেছেন।

হুট করেই পাবা উপজেলায় সংক্রমণের এমন ব্যাপকতার কারণ জানতে চাইলে উপজেলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: রাবেয়া বসরী ইউনিভার্সালনিউজ-কে জানান, জনসাধারণের অসাবধানতা সংক্রমণ বাড়ার মূল কারণ। সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই মানুষ হাট-বাজার সহ পবলিক প্লেসগুলোতে যাতায়াত করছে। এছাড়া  লকডাউন থাকা অবস্থায় ঢাকা বা নারায়ণগঞ্জ থেকে কেউ আসলে তাৎক্ষনিক তাদের বাসা লকডাউন ও নমুনা পরীক্ষা করা হত যার ফলে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রনে রাখা সম্ভব হয়েছিল। এখন এটা সম্ভব হয় না। এটাও সংক্রমণ বাড়ার বড় কারণ হতে পারে।

 

আরও পড়তে পারেন  ভোলাহাট সীমান্তে গ্রামবাসীর হাতে বিএসএফ সদস্য আটক


শর্টলিংকঃ