করোনাভাইরাস: পাকিস্তানে আক্রান্ত ১৬২৫, মৃত্যু ১৯


ইউএনভি ডেস্ক: 

বিশ্বজুড়ে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাসে পাকিস্তানে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা দুই বেড়েছে। ‘করোনাভাইরাসে দেশে মৃত্যু হার কম’, পাকিস্তান সরকার এমন দাবি করার একদিন পরই সোমবার মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯ জন আর আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে এক হাজার ৬৫৮ জনে দাঁড়িয়েছে বলে ডন জানিয়েছে।

অ্যাবোটাবাদে নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণে মৃত্যু হওয়া অবসরপ্রাপ্ত এক সামরিক কর্মকর্তার জানাজা। ছবি: জিও নিউজ
অ্যাবোটাবাদে নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণে মৃত্যু হওয়া অবসরপ্রাপ্ত এক সামরিক কর্মকর্তার জানাজা। ছবি: জিও নিউজ

সিন্ধুর স্বাস্থ্য ও জনকল্যাণ মন্ত্রীর বরাত দিয়ে জিও নিউজ জানায়, এদিন দেশটির সিন্ধু প্রদেশে নতুন করে দুই জনের মৃত্যু হয় যাদের একজনের বয়স ৬৬ বছর ও অপরজনের বয়স ৫২ বছর। তারা দু’জনেই করাচির বাসিন্দা এবং তিন দিন আগে তারা করোনাভাইরাস সংক্রমণজনিত রোগ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছিল।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পাকিস্তানের গিলগিট-বালিতস্তান স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে কোভিড-১৯ এ আরেক চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে।

ওই অঞ্চলের নগর এলাকার সুমির গ্রামে সরকারি এক স্বাস্থ্য ইউনিটে কর্মরত এক রেডিওলোজিস্টের মৃত্যু হয়েছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ার পর তাকে স্থানীয় মিনাপিন কোয়ারেন্টিন সেন্টারে রাখা হয়েছিল। সেখানেই মালিক আশদার নামের এই চিকিৎসকের মৃত্যু হয়। এই চিকিৎসকের কোনো বিদেশ ভ্রমণের ইতিহাস নেই বলে ওই অঞ্চলের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

রাজশাহীতে করোনা সন্দেহে আইসোলেশন ওয়ার্ডে যুবক

এর আগে গিলগিট-বালতিস্তানে নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের এক তরুণ চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছিল। করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই তরুণ চিকিৎসকের ভূমিকার কারণে তাকে ‘বীর’ বলে অভিহিত করেছিল স্থানীয়রা।

এদিকে পাকিস্তানি বিজ্ঞানীয় ড. আতাউর রহমান পাকিস্তানে পাওয়া করোনাভাইরাসের ক্রোমোজোম চীনে পাওয়া করোনাভাইরাসের মতো প্রাণঘাতী নয় বলে দাবি করেছেন। জিও পাকিস্তানকে তিনি বলেছেন, “চীনে যে ধরনের করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে তার চেয়ে পাকিস্তানে পাওয়া করোনাভাইরাসের ক্রোমোজোম আলাদা।”

করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর কেমিক্যাল এন্ড বায়োলজিক্যাল সায়েন্সের জামিলুর রহমান সেন্টার ফর জেনোমা রিসার্চের গবেষণা প্রতিবেদনে এ বিষয়টি উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন ড, আতাউর।

পাকিস্তানের প্রদেশগুলোর মধ্যে ৬৩৮ জন আক্রান্ত নিয়ে শীর্ষে আছে পাঞ্জাব, এরপর ৫০২ জন আক্রান্ত নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থান সিন্ধু, খাইবার পাখতুনখোয়ায় আক্রান্ত ১৯২ জন, বেলুচিস্তানে ১৪১ জন, রাজধানী ইসলামাবাদে ৫১ জন, গিলগিট-বালতিস্তানে ১২৮ জন ও আজাদ কাশ্মীরে আক্রান্ত ছয় জন বলে জানিয়েছে ডন।


শর্টলিংকঃ