করোনা ঝুঁকিতে পরিবর্তন হচ্ছে পুলিশের ডিউটিপ্ল্যান


বিশেষ প্রতিবেদক :

দেশে করোনা সংক্রমিতদের প্রায় ১০শতাংশই পুলিশ। ফ্রন্টলাইন ফাইটার হিসেবে করোনাযুদ্ধে সবখানেই সবার আগে ছুটে যাচ্ছেন তারাই। কিন্তু ঝুঁকিতে পড়ছেন অনেকেই।এমন পরিস্থিতিতে পুলিশ সদস্যদের সুরক্ষায় নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে রাজশাহীতে। একইসাথে দায়িত্বরত পুলিশের সংখ্যা কমানো হয়েছে। পরিবর্তন আনা হয়েছে খাদ্যাভ্যাসেও।

করোনা পরিস্থিতিতে কমবেশি সব পেশার মানুষই যখন ঘরে, তখনো জনগণের সুরক্ষায় মাঠে পুলিশ। পেশাগত দায়িত্ব পালনে গিয়ে অনেক সদস্যই এখন করোনা সংক্রমিত। তাই প্রত্যেক সদস্যকেই করোনা পরীক্ষার আওতায় আনার তাগিদ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।এজন্য ল্যাবের সংখ্যাও বাড়ানোর পরামর্শ তাদের।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলী বলছেন,  পুলিশের যে সব সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন তাদের অনেকেই সংক্রমিত। তাই প্রত্যেক সদস্যেরই করোনা পরীক্ষা করা উচিত। যদি শুধু এটা করতে যাই তাহলে ১০দিন লাগবে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষেরও পরীক্ষার হার বাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, এজন্য ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ, বারিন্দ মেডিকেল কলেজ, পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, সায়েন্সে ল্যাবরেটরিসহ যেসব প্রতিষ্ঠানে সুবিধা আছে সেগুলোকে কাজে লাগিয়ে পরীক্ষাগুলো করতে হবে। শুধুমাত্র রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালকে এতো বড় চাপিয়ে দিয়ে স্বস্তির অবকাশ নেই।

করোনায় ৫ পুলিশ সদস্যের মৃত্যুর ঘটনা ভাবিয়ে তুলেছে সকল ইউনিটকেই। তাই সদস্যদের সুরক্ষায় দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নানা পরিবর্তন এনেছে ইউনিটগুলো।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যদের জন্যও করোনা আশঙ্কাজনক হতে পারে বলে উদ্বেগের কথা জানিয়েছে অতিরিক্ত উপ কমিশনার ও মুখপাত্র গেলাম রুহুল কুদ্দুস। তিনি বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় ডিউটি রোস্টার নতুন করে সাজানো হচ্ছে। একসাথে ডিউটিরত পুলিশের সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, বিভিন্ন ছোট ছোট গ্রুপ হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন তারা। যাতে কোনো গ্রুপের কোনো সদস্য সংক্রমিত হলে ওই গ্রুপের সবাইকে হোম কোয়ারেন্টাইনে নেয়া সহজ হয়। সংক্রমণের হার যেন না বাড়ে। সার্বিক পরিস্থিতির জন্য এসওপি তৈরির কাজ চলছে।

এদিকে, রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ্ ইউনিভার্সাল২৪নিউজকে জানান, করোনায় মনোবল চাঙ্গা রাখতে নিয়মিত খাদ্যাভ্যাসেও পরিবর্তন আনা হয়েছে জেলা পুলিশে। পাশাপশি নিশ্চিত করা হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি। তবে সন্দেহভাজনদের পরীক্ষা করা হচ্ছে নমুনাও।

তিনি আরো বলেন, প্রতিটি থানার ফোর্সকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে। পুলিশ লাইনে ফোর্সদের কয়েকটি গ্রুপে রাখা হচ্ছে। ফেস শিল্ড, হ্যান্ড গ্লাভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক, সাবান দেয়া হয়েছে।নিয়মিত জিঙ্ক ট্যাবলেট ও ভিটামিন সি খাওয়ানো হচ্ছে।

উল্লেখ্য, সোমবার রাজশাহীর তানোর থানায় কর্মরত এক পুলিশ সদস্যসহ দু’জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

 


শর্টলিংকঃ