করোনা ভাইরাসের প্রকোপ


ইউএনভি ডেস্ক:

সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে, এখন ক্রীড়াঙ্গন ডুবে থাকত হাজারো রকমের খেলাধুলার ভিড়ে। কিন্তু, আদতে তা হচ্ছে না। কারণ, করোনা ভাইরাসের প্রকোপে কাঁপছে পুরো বিশ্ব, ক্রীড়াঙ্গন বা ক্রিকেট দুনিয়াও তার বাইরে নয়।

করোনা ভাইরাসের প্রকোপ

দেশে ও দেশের বাইরে সব রকম প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট বন্ধ। এশিয়া ছাপিয়ে ইউরোপে ছড়িয়ে যাওয়া এই ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সাবধানতার বিকল্প দেখছেন না বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘করোনা ভাইরাস সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে, বাংলাদেশেও আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। তবে সবাইকে সাবধান ও সতর্ক থাকতে হবে। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দুটি ব্যাপার খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত সবাইকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে, নিয়ম মেনে বারবার হাত ধুতে হবে। চোখ, মুখ, নাকে হাত দেওয়া যাবে না। দ্বিতীয়ত সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন।

তামিম মনে করেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সবারই ভূমিকা রাখার সুযোগ আছে। তিনি বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে হলে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। খুব প্রয়োজন না হলে বাসার বাইরে যাওয়া যাবে না, ভিড় থেকে দূরে থাকা আর বিভিন্ন অনুষ্ঠান এড়িয়ে চলা উচিত। আমাদের নিজের জন্য, পরিবারের জন্য আর দেশের জন্য কিছু স্যাক্রিফাইস করতে হবে। বয়স্কদের প্রতি আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। প্রবাসী যারা দেশে ফিরেছেন তাদের প্রতি অনুরোধ—সব নিয়ম মেনে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকুন।

দেশের হয়ে ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ করা তামিম মনে করেন, এই সময়ে গুজব বা মিথ্যা খবর এড়িয়ে চলা উচিত। তিনি বলেন, ‘করোনা ভাইরাস নিয়ে কেউ মিথ্যা বা গুজব ছড়াবেন না, গুজবে কানও দেবেন না। আমি ও আমার পরিবার সব নিয়ম মেনে চলার চেষ্টা করছি, আপনিও করেন। সবাই দায়িত্ব পালন করলে আমার বিশ্বাস আল্লাহর রহমতে করোনার সংক্রমণ থেকে রেহাই পাবোই।’

এদিকে, শনিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন সাকিব আল হাসান। তবে তিনি বাসায় ওঠেননি। দেখা করেননি স্ত্রী উম্মে আহমদ শিশির ও মেয়ে আলাইনা হাসান অব্রির সঙ্গেও। সরাসরি উঠেছেন একটি হোটেলে। সেখানেই নিজেকে স্বেচ্ছায় আইসোলেশনে রেখেছেন।

এ বিষয়ে এক ভিডিও বার্তায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘আমি মাত্রই যুক্তরাষ্ট্রে এসে পৌঁছালাম। যদিও পেছনে সব সময় ভয় কাজ করেছে একটু হলেও। তারপরও চেষ্টা করেছি নিজেকে কীভাবে জীবাণুমুক্ত রাখা যায়। যখন আমি যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছালাম, আমি সোজা একটি হোটেলের রুমে উঠেছি এবং আমি ওদেরকে অবগত করেছি এখানে থাকব কিছুদিন। আমি যেহেতু ফ্লাই করে এসেছি আমার একটু হলেও রিস্ক আছে। এজন্য আমি নিজেকে আইসোলেটেড করে রেখেছি।’

স্ত্রী-সন্তান থেকে দূরে আছেন সাকিব। পরিবার থেকে দূরে থাকার কষ্ট তো আছেই, তারপরও এই ত্যাগ তিনি শিকার করছেন নিজের মেয়ের জন্য। সাকিব বলেন, ‘এখানে এসেও নিজের বাচ্চার সঙ্গে দেখা করছি না, অবশ্যই এটা আমার জন্য কষ্টকর একটা ব্যাপার। তারপরও আমার কাছে মনে হয় এই সামান্য স্যাক্রিফাইসটুকু করতে পারলে আমরা অনেক দূর এগুতে পারব।’


শর্টলিংকঃ