করোনা সন্দেহভাজনদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড হচ্ছে রামেক হাসপাতালে


নিজস্ব প্রতিবেদক :

সর্দিজ্বর ও কাঁশি বা শ্বাসকষ্ট মানেই করোনা সংক্রমিত নয়। টেস্টের পরই সেটা  নিশ্চিত হওয়া উচিত। যদিও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সন্দেহভাজন নতুন কোনো রোগী আসে নি গেল ২৪ঘণ্টায়। তবে  সন্দেহভাজন রোগীদের জন্য আলাদা করে হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটকে (২৯ ও ৩০ নং ওয়ার্ড) প্রস্তুত করা হচ্ছে। 

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন ডা. আজিজুল হক আজাদ

মঙ্গলবার রামেক হাসপাতালে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে  এসব কথা তথ্য জানান, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা চিকিৎসা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. আজিজুল হক আজাদ।

ডা. আজিজুল হক আজাদ বলেন, ল্যবরেটরি কনফার্ম কেসের পরই কেবল করোনাভাইরাসের আক্রান্ত বলতে চাই। হাসপাতালে পৃথক ল্যাবে করোনা টেস্ট ফ্যসিলিটি চালুর কাজ দ্রুত গতিতে কাজ এগিয়ে চলছে। যে কেউ চাইলেই টেস্ট করিয়ে নিতে পারবে বিসয়টা এমন না। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখার পর তিনি কনফার্ম করলেই সাসপেক্টের নমুনা সংগ্রহ করে নির্ধারিত ল্যাবে টেস্ট করা হবে।

তিনি জানান, সোমবার থেকে আইডি (ইনফেকশন ডিজিজ) হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা পবার ১৭ বছরের রোগীর অবস্থা অপরিবর্তিত আছে। তাকে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে। রামেক হাসপাতালের ল্যাবে টেস্ট ফ্যাসিলিটি চালু হওয়ার সাথে সাথে তার নমুনা নিয়ে টেস্ট করা হবে। হাসপাতালে আলাদা ভাবে অবজারভেশন ওয়ার্ডে (৩৯ ও ৪০ নং ওয়ার্ড) পর্যবেক্ষণে থাকা ৬ জন রোগীর মধ্যে দুই জনের অবসস্থার উন্নতি হওয়ায় তাদেরকে ছুটি দেয়া হয়েছে। বাকি চার জন ভর্তি আছে। তারা করোনা সাসপেক্ট না। তারা সাধারণ রোগী। তারা সবাই ভালো আছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক সাইফুল ফেরদৌস ও মেডিসিন বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. খলিলুর রহমান।


শর্টলিংকঃ