Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

কলকাতা বন্দরের নাম পরিবর্তনের ঘোষণা নরেন্দ্র মোদির


ইউএনভি ডেস্ক:

কলকাতা বন্দরের নাম পরিবর্তন করার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রোববার দুপুরে নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট বা কেপিটি–র সার্ধ শতবর্ষ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনে এসে এ ঘোষণা দেন তিনি।ওই বন্দরের নতুন নাম হবে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দর।

কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানানো হয়। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত

মোদি আরও বলেন, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি দেশের শিল্প ভাবনার পথিকৃৎ ছিলেন এবং এক দেশ, এক সংবিধানের জন্য লড়েছিলেন। চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ কারখানা, ডিভিসি, হিন্দুস্তান বিমান কারখানা তার হাত ধরেই গড়ে উঠেছিল যা দেশের অগ্রগতিতে কাজে এসেছে।

মোদি অভিযোগ করে বলেন, শ্যামাপ্রসাদ এবং বাবাসাহেব তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকার থেকে পদত্যাগের পর তাদের পরামর্শ বা মতামত মানা হয়নি।

নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘‌ সারা দেশের কাছে কলকাতা বন্দর শিল্প, আধ্যাত্মিকতা এবং স্বনির্ভরতার প্রতিচ্ছবি। তাই এ বন্দর যখন নিজের সার্ধ শতবর্ষ উদ্‌যাপন করছে তখন এটা আমাদের দায়িত্ব তাকে নতুন ভারতের শক্তিশালী প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা।’‌

কলকাতার জলপথ পরিবহন বিস্তার প্রসঙ্গে মোদি বলেন, ‘‌বারাণসী–হলদিয়া আগেই গঙ্গা দিয়ে জলপথে সংযুক্ত করা হয়েছে। এবার ‌গঙ্গার গভীরতা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। যাতে ২০২১ সালের মধ্যে গঙ্গা দিয়ে বড় জাহাজ চালানো যায়।’

নরেন্দ্র মোদি বলেন, কলকাতা বন্দরের সম্প্রসারণ এবং আধুনিকীকরণের জন্য কয়েকশো কোটি টাকার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর করা হয়েছে যার লাভ পাবে সারা বাংলাই। আদিবাসী মেয়েদের জন্য শিক্ষা এবং দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি।

দেশের অর্থনীতি প্রায় আইসিইউতে চলে গেলেও রোববার নেতাজি ইনডোরে মোদি কিন্তু ফের জোর গলায় বড়াই করেন, কেন্দ্রের একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কারণেই দেশ আগের থেকে এখন অনেক শক্তিশালী। তার দাবি, প্রধানমন্ত্রী কৃষক সম্মান নিধিতে উপকৃত হয়েছেন দেশের আট কোটি কৃষক। আয়ুষ্মান ভারতের জন্যও সুচিকিৎসা পাচ্ছেন কয়েকশো গরিব মানুষ। এদিনের অনুষ্ঠানে যাননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। যদিও অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত ছিলেন তিনি। তবে হাজির ছিলেন রাজ্যপাল। ছিলেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য সহ লকেট চ্যাটার্জি, দিলীপ ঘোষ, অর্জুন সিং–এর মতো প্রদেশ বিজেপি নেতারা।

তথ্যসূত্র: এএনআই ও আজকাল


Exit mobile version